পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ প্রয়োগ করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রায় নিয়ে সরকার প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জোর করে তাকে দিয়ে রায় পরিবর্তন করানোর জন্য প্রকাশেই আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন। গতকাল (রোববার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরণের বৈঠকের খবর অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি তো এখন প্রধান বিচারপতির ওপরে চাপ সৃষ্টি করছেন, জোর করে তাকে দিয়ে রায় পরিবর্তন করানোর জন্য আপনারা প্রকাশ্যে বলছেন। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশের পর থেকে তা নিয়ে বাদ-প্রতিবাদ চলছে। এই রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ কড়া সমালোচনা করলেও বিএনপি এটাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কী করবেন আমরা জানি না। প্রধান বিচারপতি কী করবেন আমরা জানি না। বাংলাদেশের জনগণ কখনো আপনাদের (সরকার) এই অন্যায় মেনে নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল দুঃশাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। নির্দলীয় সহায়ক সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন’ করার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলোকে ধ্বংস না করে, বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি না করে সোজা রাস্তায় আসুন, সোজা পথে ফিরে আসুন, সিধা পথে চলুন। তা না হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালানোর পথ পাবে না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে রাজপথে আসুন। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করুন। ক্ষমতার চেয়ারে বসে এবং চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী রেখে অনেক কথা বলা যায়। ক্ষমতা ছেড়ে নেমে আসুন দেখুন দেশের জনগণ কাদের পাশে দাঁড়ায়?
শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতির বাসায় ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, আমরা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে গেছি, আমরা শঙ্কিত হয়ে গেছি আজকের পত্রিকার খবর দেখে। ওবায়দুল কাদের সাহেব গতকাল (শনিবার) রাতে প্রধান বিচারপতির বাসায় গেছেন। কখন গেছেন? আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করে তারপরে তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গেছেন। আমি আরও বিস্মিত হলাম, সেখানে তিনি নৈশভোজ করেছেন!
প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সা¤প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দুঃখিত হই, লজ্জিত হই, শঙ্কিত হই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবার জন্য আবার নতুন কী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে! ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে আজ মুখ খুলতে হবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, এই পাশবিক নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে। ভুলে গেলে চলবে না যে, তারা আমাদের ভাইদেরকে এক এক করে মেরেছে, ভুলে গেলে চলবে না যে, তারা আমাদের সহকর্মীদের গুলি করে দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের পরিচালনায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মহানগর বিএনপির মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, যুবদলের এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ওলামা দলের শাহ নেসারুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।