বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুবি সংবাদদাতা : ‘বিচার পাই না, তাই বিচার দাবীও করি না’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করুন’ ইত্যাদি শোøগান সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে এক সাংবাদিক নেতাকে প্রক্টরের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধনে অংশ নেন।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভিসিকে এ সংক্রান্ত একটি অবহিত করণে একটি স্মারকলিপি দেয় সাংবাদিক সমিতি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষক সমিতি।
জানা যায়, গত ৯ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে শিবির আখ্যা দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ। ঘটনা জানতে প্রক্টরকে ফোন দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকালের খবরের প্রতিবেদক ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মতিউর রহমান। এসময় তিনি ঐ সাংবাদিককে থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। এছাড়াও তাকে বেয়াদব বলে লাঞ্ছিত করেন প্রক্টর।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ (ইত্তেফাক), সাধারণ সম্পাদক মো: মতিউর রহমান (সকালের খবর), অর্থ সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম (সংবাদ), তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক তানভীর সাবিক (যুগান্তর), কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাদাত বিপ্লব (আজকালের খবর) ও মেহেদী হাসান মুরাদ (ইনকিলাব)সহ অন্যান্য সদস্যরা।
মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিচার দাবী না করে শুধুই প্রতিবাদ জানিয়ে এ মানববন্ধন প্রসঙ্গে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন সময়ে এ ক্যাম্পাসে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। বিচার দাবি করাও হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা বিরূপ মন্তব্য করছেন। বিচার না পাওয়ার ক্ষোভে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে প্রক্টরের হাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক কেউই নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বে প্রক্টর শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করেছেন।
প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমার বক্তব্য আংশিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় লেখার ক্ষোভ থেকেই প্রক্টর সাংবাদিকের সাথে এ আচরন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।