Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নেপিয়ার চাষে অভাব মুক্ত চরাঞ্চলের ৫০ হাজার ভূমিহীন চাষির

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু ও টিএম কামাল : গাইবান্ধার ফুলছড়ি থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের যমুনা নদীর চরাঞ্চলে একদা প্রাকৃতিক ভাবেই ছিল বিশাল বিস্তৃত কাশবন কাইশা জাতের লম্বা ঘাষ। তাই গো-খাদ্যের জন্য চরবাসীকে তখন ভাবতে হয়নি। তবে চরে এখন আর আগের মত কাশবন ও কাইশা ঘাষ নেই। সেখানে এখন চাষ হচ্ছে বিদেশী নেপিয়ার ঘাস। ধু ধু বালুচরের বুক এখন সবুজ নেপিয়ার ঘাসে ছেয়ে আছে। গো-খাদ্য হিসাবে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে ওই অঞ্চলের বিশাল দুর্গম চরের প্রায় ৫০ হাজার ভূমিহীন ও চরবাসী এখন নিজেদের অভাব কমাতে সক্ষম হয়েছে।
নেপিয়ার ঘাস চাষ করে গো-সম্পদ রক্ষা মোকাবিলা করছে। এক হিসেবে জানা যায়, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরে বাস করে ৬০ লাখ মানুষ। নদী ভাঙ্গা সর্বস্বহারা মানুষ এ চর থেকে সে চর ঘুরে বেড়ায়। গবাদিপশুই তাদের এক মাত্র সম্পদ। কাশবনের সবুজ কাশ আর কাইশা ঘাষই ছিল গবাদিপশুর খাদ্য। কাইশা ঘাষ ও কাশবনের বিলুপ্তির পর পশু সম্পদ অধিদপ্তর চরে চরে নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য পরামর্শ দেয়। প্রভাবশালীদের দখল করা চরের জমি লিজ নিয়ে ভূমিহীনরা এখন চাষ করছে নেপিয়ার ঘাস। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সদর, চৌহালী, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, বগুড়ার ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, উপজেলার দুর্গম চরে উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস চরের গবাদি পশুর চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। নদীর ঘাটে ও সদরে বসে নেপিয়ার ঘাসের হাট। কাজিপুরে মাইজবাড়ী চরের আফজাল, আব্দুল কাদের, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম সোনামুখী ও ঢেকুরিয়া বাজারে চরের জমিতে চাষ করা নেপিয়ার ঘাস বিক্রি করতে এসেছিল। নেপিয়ার ঘাস চাষ করে তারা এখন দারিদ্র্য মুক্ত বলে জানিয়েছে সবাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ