বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দিক-নির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনার সম্মিলিত নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বাজেট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খুলনা পাবলিক হলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত ২০০ কোটি টাকার মধ্যে ২৪ কোটি টাকা সিটি কর্পোরেশন গ্রহণ করলেও সে টাকা দিয়ে কি করা হয়েছে বাজেটে তার কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নেই। ময়ুর নদীতে ৩০০ কোটি টাকার কাজে লুটপাট করা হয়েছে। নগরবাসী এ কাজের সুস্পষ্ট হিসাব চায়। নগরীর রাস্তাঘাট মেরামতের নামে লুটপাট চলছে। ফলে মানসম্মতভাবে রাস্তাঘাট মেরামত না হওয়ায় অতিঅল্প সময়ের মধ্যে সংস্কারকৃত রাস্তাঘাট ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন সংস্কারের কথা বলা হলেও ড্রেন থেকে খালের মাধ্যমে দ্রæত পানি নিস্কাশনের জন্য খাল খনন এবং দখলকৃত খাল উদ্ধারের কোন পরিকল্পনা নেই কেসিসি’র। ফলে নগরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই পাবে না। সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বেহাল দশা খানাখন্দ তৈরী হওয়া রাস্তা, লেন সংস্কার/উন্নয়নে বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই বাজেটে। নগরীতে যানজটের জন্য নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে; কিন্তু যানজট নিরসনের কোন কথা বলা হয়নি। সিটি কর্পোরেশন গত অর্থ বছরে ৮২ দশমিক ৯১ শতাংশ কর আদায় করলেও নগরবাসী তা থেকে কোন সুবিধা পায়নি। বাজেটে ৫৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বললেও ৩০ শতাংশের বেশী দৃশ্যমান নেই।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর কেসিসি’র দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাবু, শেখ আবেদ আলী, ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, রফিকুর রহমান রিপন, খুরশিদ আলম কাগজি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।