Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সিলেটের সরকারি হাসপাতালে মিলছে না কাঙ্খিত সেবা

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আউটডোরে দেখা মেলে না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
ফয়সাল আমীন ঃ সিলেটের সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে কাংখিত সেবা মিলছেনা। মেডিকেল অফিসার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। কার্যত সিনিয়র কোনো চিকিৎসক বা অধ্যাপকের দেখাই পান না সেবা নিতে আসা রোগীরা। তবে অধ্যাপকদের দাবি, বিভিন্ন কাজে তাদের এতোটাই ব্যস্ত করা হয়েছে যে, আউটডোরে সেবা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না।
ডাক্তারপাড়া খ্যাত সিলেট নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটে অধ্যাপকদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে। বহু কষ্টে একটি টিকিট সংগ্রহ করে ডাক্তার দেখাতে আসেন গ্রাম গঞ্জের লোকজন। রোগীরা জানান, হাসপাতালে গেলেও পছন্দের ডাক্তার দূরে থাক কোন সিনিয়র ডাক্তারদেরও পাওয়া যায়না। আউটডোরে যারা বসেন, তাদের সকলেই নবীন। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি খরচ করে সিনিয়র ডাক্তারদের চেম্বারে ছুটেন তারা।
জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৮টি বিভাগে বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। এখানে সেবা দেন মেডিকেল অফিসার ও আবাসিক চিকিৎসকরা।
প্রয়োজন মনে করলে আবাসিক চিকিৎসকরা রোগীদের ভর্তি করেন হাসপাতালে। ভর্তি হলে হয়তবা রোগীরা কোন অধ্যাপকের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে হাসপাতালে।
সিলেটের একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক আলমগীর হোসেন দাবি করেন, ইনডোর-আউটডোর সবখানে অধ্যাপকদের সেবা পাওয়া রোগীদের অধিকার। তাদের উচিত প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দু’তিন দিন বহির্বিভাগে সেবা দেয়া। ওসমানী মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, অধ্যাপকরা অনেক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন। চিকিৎসা সেবা ছাড়াও তাদের হাসপাতালে যারা এমবিবিএস পড়তে আসেন তাদের পড়াতে হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এখানেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের জড়িত থাকতে হয়। ফলে আমরা চাইলেও আউটডোরে রোগী দেখতে পারিনা। বিষয়টি প্রত্যেকের নজরে রাখা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি আরো দাবি করেন ইনডোর ও ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিটির প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের। তারপরও বোর্ডে একদিন বসার চেষ্টা করেন তারা।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। উচ্চপদস্থদের সাথে কথা বলতে হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিএমএ কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, একটা রুটিন করে প্রতিদিন বহির্বিভাগে যেনো প্রফেসাররা ডিউটিতে থাকেন, সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ জানাবো। এতে করে আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীরা সেবা পাবে বলে আশা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ