স্টাফ রিপোর্টার: সাধারণত চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ রোগী পরবর্তীতে কোন না কোন ধরনের আর্থাইটিসে ভোগেন। সেজন্য এসব রোগীদের উপযুক্ত ও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চিকুনগুনিয়া ও আর্থাইটিস ক্লিনিক চালু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার সকাল ১১টায় বিএসএমএমইউ এর ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান ফিতা কেটে ক্লিনিকটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এখন থেকে মেডিকেলের বহির্বি/ভাগের ১নং ভবনের ৪১০নং কক্ষে সাপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এই ক্লিনিকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রোগীদের সেবা দেয়া হবে। রোগীদের সুবিধার্থে বিএসএমএমইউ’র রিউমেটোলজি বিভাগের তত্ত¡াবধানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এটি পরিচালনা ও ব্যব¯’াপনার দায়িত্বে থাকবে।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, চিকুনগুনিয়ার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ভ‚মিকা পালন করেছে। শুরুতে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার আয়োজন করা হয়। পরবর্তী “চিকুনগুনিয়া: ঢাকা এঙ্গপ্রিয়েন্স-২০১৭” শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। রোগীদের সুবিধার্থে বিএসএমএমইউতে এখন “চিকুনগুনিয়া ও আর্থাইটিস ক্লিনিক” চালু করা হলো।
তিনি আরো বলেন, এ বছর সাংবাদিকবৃন্দ ও গণমাধ্যমগুলো চিনিগুনিয়ার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছেন। এ রোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বিভাগ, উয়িং-এর সমন্বয়ে এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞবৃন্দ নিয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, আক্রান্ত রোগী যাতে ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে একটু আরাম অনুভব করে চিকিৎসকদের সে বিষয়টিও স্মরণ রাখতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক, ফলপ্রসূ ও সমন্বিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আক্রান্ত রোগীরা অনেক বেশি কষ্ট পা”েছন। তাঁদের এ কষ্ট থেকে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে মুক্তি দিতে বিএসএমএমইউ করণীয় সব কিছুই করবে।
মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকুনগুনিয়ায় রোগীদের যেনো অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা না দেয়া হয়। তাদের কষ্টের মাত্রা চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রæত হ্রাস করার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বাস্তবতা, রোগীদের কষ্ট ও দুর্ভোগ, সামর্থ্য ও সুবিধার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।
রিউমেটোলজি বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ডা. শামীম আহম্মেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী। তথ্যসমৃদ্ধ ও চিকিৎসা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ও এপিএলএআর-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, প্রফেসর ডা. শামসুন নাহার, ডা. শাহানা আখতার রহমান, প্রফেসর ডা. মো. আব্দুর রহিম, প্রফেসর ডা. শাহিনা তাবাসসুম, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মো. আবু শাহীন প্রমুখ।