Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএফইউজে-ডিইউজের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে হেয় করেছেন
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজ, ওয়েজ বোর্ড ও গণমাধ্যম সম্পর্কে যে অরুচিকর ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বর্তমান সরকারের গণমাধ্যমবিরোধী মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে হেয় করেছেন। এটা কোন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর মুখে তো নয়ই, সুস্থ বিবেকবান মানুষের কাছেও প্রত্যাশিত নয়। অর্থমন্ত্রীকে তাঁর অশোভন বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। একই সঙ্গে চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই রেজিস্টার্ড সাংবাদিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করতে হবে। তা না হলে সারাদেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ ও অশোভন বক্তব্য প্রত্যাহার দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ। ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএফইউজে’র সহকারি মহাসচিব মোদাব্বের হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি নুরুল আমীন রোকন, ডিইউজে’র সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত, সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম মানিক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধিত সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি নিয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে অচিরেই বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং সে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যদি অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে তার পদত্যাগ দাবি করতে আমরা বাধ্য হবো।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় বসে আমার দেশ দিগন্ত টিভিসহ অসংখ মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একজন সাংবাদিক হত্যারও বিচার হয়নি। এম আবদুল্লাহ বলেন, অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন এতোগুলো চ্যানেল এবং ১৫ থেকে ২০টির বেশি পত্রিকার দরকার নেই। তার এমন বক্তব্যে পুরো সাংবাদিক সমাজ বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এটা তাঁর অজ্ঞতা। এম এ আজিজ বলেন, অর্থমন্ত্রী বয়সজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েই এমন উদ্ভট বক্তব্য দিয়েছেন। এই লোকের কোনো লজ্জা নেই। পুরো কেবিনেট এ ধরণের লোক দিয়ে ভরা। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ