বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাংবাদিকদের আন্দোলনের প্রয়োজন নেই, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ওয়েজবোর্ড গঠন এবং বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল রোববার পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সামনে ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ দাবি করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের মধ্য থেকে দাবি উঠার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার ওয়েজবোর্ড গঠনের কাজ শুরু করেছে। আগামী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে। সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে, কর্মচারী বন্ধুদের সঙ্গে আমরা একাধিকবার বসেছি। ওয়েজবোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে কোন লুকোচাপার অবস্থান নেই। সাংবাদিক ও কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মত এক, আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ নই, শত্রুও নই। মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় যেখানে ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে, ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে, সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় ওয়েজবোর্ডের বিরুদ্ধে এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা পক্ষেই আছি। তিনি বলেন, মালিকদের প্রতিনিধি আমরা পাইনি, আমরা মালিকদের তাগাদা দিচ্ছি প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে দেন-দরবার চলছে এবং অনুরোধ করছি। আশা করছি, তারা অবিলম্বে প্রতিনিধি দেবেন। আমরা ওয়েজবোর্ড গঠন করব। মালিকরা যদি প্রতিনিধি না দেন তবে এক তরফা মজুরি বোর্ড ঘোষণা করব কি না, এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, আমি সংবাদিক ভাই- বোনদের মঙ্গল চাই, তারা যাতে ওয়েজবোর্ডের সুযোগটা পায়.... সেজন্য এই প্রশ্নের সম্মুখীন যদি হই তাহলে আমরা মনে করি বিএফইউজে, ডিইউজে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এবং সরকারের সঙ্গে, সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এই রকম এক তরফা ওয়েজবোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা উপকার পাবেন কি পাবেন না, এটি নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি এখনও মনে করি মালিক পক্ষ যেখানে প্রতিনিধি দিতে সম্মত হয়েছে, কিন্তু এখনও প্রতিনিধি দেননি, আমরা একটা ধৈর্য্য ধরে তাগাদা দিচ্ছি, আশা করছি মালিকরা প্রতিনিধি দেবেন। মালিকদের প্রতিনিধি পেলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করে দেব। নবম ওয়েজবোর্ড গঠনে তথ্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক পক্ষ ও মালিক পক্ষ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, তৃপক্ষীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে ওয়েজ বোর্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। সেটা বাস্তবায়নের জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ওয়েজ বোর্ড ৫ বছর পর পর দেওয়ার বিধান আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণে ৫ বছর অন্তর ওয়েজবোর্ড দেয়া অতীতে সম্ভব হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ২০১৩ সালের সেপ্টম্বর মাসে বহু খাটাখাটনি করে ওয়েজবোর্ড দিতে সক্ষম হই। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৫ বছর পূর্তি হবে। ৫ বছর পর যাতে গণমাধ্যমের কর্মীরা, সাংবাদিক বন্ধুরা নবম ওয়েজবোর্ডর সুযোগ পায় সেইজন্য তারা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। এই দাবির সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে। গত ওয়েজবোর্ডের ৫ বছর পর থেকেই নতুন ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে । ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ওয়েজবোর্ডের অধীনে নন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছি, কীভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে। মন্ত্রী বলেন, যেখানে আমরা সবাই একই জায়গায় আছি সেখানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের রাস্তায় মিছিল করার দরকার নেই। আপনারা শান্ত হোন ধৈর্য্য ধরুন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুন, ইনশাআল্লাহ ওয়েজবোর্ড বাংলাদেশে হবে। এদিকে তথ্য অধিদফতরের সামনে ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। এখানে স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।
এ সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বেতারের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।