Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়লা-ঝিলতলী সড়কের বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদের কয়লা - ঝিলতলি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে দূর্ভোগের অন্ত নেই সর্বসাধারনগনের। সড়ক দিয়ে ৭টি গ্রামের প্রায় অন্তঃত ২০ হাজার অধিবাসির দূর্ভোগের শিকার রাস্তার বেহাল দশার জন্য। ভোট এলেই এইসব গ্রামে সবাই নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচন গেলে আর স্মরণ থাকে অবহেলিত এই জনগোষ্ঠির কথা। এমনটাই জানালেন গ্রামের শ্রমজীবি অধিবাসিরা।
উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা এলাকার রহমতপুর গ্রামের পথচারি হাজী দুলাল চৌধুরী বলেন আমাদের এই ১নং করেরহাট ইউনিয়নের সৈয়দপুর, রহমতপুর, পশ্চিম সোনাই, ঝিলতলি, মরা কয়লা, তাকিয়াপাড়া, কয়লা এই ৭টি গ্রামের অন্তঃত ২০ হাজার মানুষ প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একমাত্র এই কয়লা -ঝিলতলি সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে। বর্ষা এলেই গর্তে ভরা সড়ক হাটু পরিমান কাদায় দূর্ভোগের অন্ত থাকে না। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আলাদা কাপড় নিয়ে রওনা হতে হয়। ধ্বসে পড়া কয়েকটি ব্রীজের ও দৈন্যদশা বিরাজমান। কয়লা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার অনেক বছর পূর্বে পিচ ঢালাই করা হলে ও তা ভেঙ্গে খান খা হয়ে গর্তে রুপ নিয়েছে কয়েক বছর আগে থেকেই। করেরহাট স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্র রাশেদুল ইসলাম বলে বড় বড় ট্রাক চলে চলে রাস্তাটি শুধু গর্ত করে দেয়। আবার এতো ছোট রাস্তা দিয়ে বড় ট্রাক গেলে আমরা হাটার পথ ও থাকে না। এই শিক্ষার্থী বলে উপজেলার অনেক রাস্তায় এখন ভারী ও বড় গাড়ি না চলার জন্য গেইট বার করে দিয়েছে। তেমনভাবে এখানে ও করে দিলে আমাদের রাস্তাটি অন্তঃত রক্ষা পেত। জনৈক সিরাজ মিয়া বললেন ভোট এলেই প্রার্থীরা ও প্রার্থীর পক্ষের সবাই এই রাস্তা আর বিদ্যুতের কথা বলে প্রতিবার ভোট নেয়, কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলে আমাদের কষ্টের দিকে ফিরে তাকানোর সময় থাকে না কারো।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ মহিউদ্দিন বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বিভাগের কাছে ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছি। তবে সম্প্রতি আমাদের এলাকার অভিবাবক গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর প্রতিশ্রুতি মোবাবেক শীঘ্যই রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ হবার কথা । এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার এর মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী জনাব রাশেদ রহমান বলেন এই রাস্তাটি ইতিমধ্যে টেন্ডার কার্যক্রম ও চলমান । আশা করছি শীঘ্রই আমরা ঠিকাদার নিয়োগ প্রদান করবো । আর আগামী ১ বছরের মধ্যেই এলাকাবাসীকে আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে মন্থব্য করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ