রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী: সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে বাজার মূল্য নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। চলতি বছর পাবনায় পাটের বাম্পার আবাদ হয়েছে। ফলে কৃষকরা লাভের মধ্যে লোকসানের চিন্তা করছেন। কয়েক বছর ধরে পাবনাসহ এর আশপাশের জেলায় পাটের দাম তেমন না থাকায় পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কৃষকরা। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো হওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বাজার মূল্য যদি পড়ে যায় তাহলে আবার লোকসার গুনতে হবে। ইতোমধ্যে কৃষক ক্ষেত থেকে পাট কেটে পানিতে জাগ দিয়ে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাবনা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের এক সূত্র জানা গেছে, চলতি বছর এই জেলায় ৪৫ হাজার ৭৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আর এ থেকে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার বেল।
জেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশি পাট আবাদ হয়েছে সুজানগর উপজেলায়। এ উপজেলায় ১০ হাজার ৭ শ ২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়ার সদর উপজেলায় ৯ হাজার ২ শ ৫০ হেক্টার, আটঘরিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৮শ ২৮ হেক্টর, ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫শ ১১ হেক্টার, চাটমোহরে ৮ হাজার ৫শ ৯০ হেক্টর, ভাঙ্গুড়ায় ৬শ ৫০ হেক্টর, ফরিদপুরে ৭শ ১০ হেক্টর, বেড়া উপজেলায় ২ হাজার ৫শ ১৫ হেক্টর ও সাঁথিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
আতাইকুলা থানার তৈলকুপী গ্রামের পাট চাষী আব্দুল মান্নান জানান, কয়েক বছর আগেও পাট চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। চলতি মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় আবাদ ভাল হয়েছে। এছাড়াও ধান আবাদ করে বরাবরেই লোকসান গুনতে হয় তাদের। তাই অনেক চাষীই এ বছর পাটের আবাদ করেছেন লাভের আশায়। দেশে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। আর এ কারণে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে তারা লাভ করতে পারবেন। কিন্তু ফরিয়া ও মধ্যস্বত্ব ভোগীর কারসাজিতে যদি পাটের বাজার চড়া না হয় তাহলে উৎপাদন খরচ ঘরে আসবে না।
পাবনা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর পাবনা জেলায় আড়াই হাজার হেক্টর বেশী জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আগামীতে এ জেলায় পাটের আবাদ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন। তাঁর মতে, এবার কৃষক পাটের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।