Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অজানা রোগে ভুগছে আক্তারুল

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর গ্রামের দিন মজুর, অসহায় খোকন ফকিরের পুত্র ১২ বছরের শিশু আক্তারুল অজানা রোগে ভুগছে। সে চলাফেরা করতে পারে না, এমন কি অন্যের সাহায্য ব্যতীত কিছু খেতে পর্যন্ত পারেনা।
জানাগেছে, খোকন ফকিরের তিন কন্যা সন্তান এবং দুই পুত্র সন্তান ছিল। বড় পুত্র কামরুল একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতিপূর্বে মৃত্যুবরন করেছিল। আক্তারুল সবার ছোট।
খোকন ফকির জানান, জন্মের পর আট বছর ভালোই ছিলো আক্তারুল। ২য় শ্রেনীতে পড়তো সে। নিয়মিত স্কুলে যেত কিন্তু সেটা আর বেশি দিন হয়ে উঠলো না। ক্রমে ক্রমে হাঁটতে চলতে অসুবিধা হতে খাকলে তাকে নিয়ে ডাক্তার, কবিরাজ দেখানো হয়। কিন্তু কিছুতে কিছুই হচ্ছেনা। বছর তিনেক আগে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আউটরিচ প্রজেক্টের পক্ষ থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন সম্ভবতঃ উঁপযবহহব গঁংপঁষধৎ উুংঃৎড়ঢ়যু (ডি এম ডি) সমস্যায় ভুগছে আক্তারুল। ভাল চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশেও এর ভাল চিকিৎসা আছে। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
অসুস্থ্য আক্তারুল জানান, আগে হাঁটতে চলতে ও স্কুলে যেতে পারতাম কিন্তু এখন তা আর পারিনা। মন চায় অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে স্কুলে যাই। তাদের সাথে খেলা করি কিন্তু সেটা আর পারিনা, সারাক্ষণ শুধু শুয়ে থাকতে হয়।
খোকন ফকির কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক হাসপাতালে গিয়েছি কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাইনি। এখন সর্বশান্ত হয়ে গেছি। রোগের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে এখন সে অচল অবস্থায় রয়েছে। ঠিক যেমনটা আমার বড় প্ত্রু কামারুলের ঘটেছিল, তেমনটাই ছোট পুত্র আক্তারুলের হচ্ছে। বড় পুত্রকে বাঁচাতে পারিনি, এখন কি আক্তারুলকে বাঁচাতে পারবো না? তার সুচিকিৎসার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার বিকাশ একাউন্ট নং- ০১৭৮০ ২৩৯৬৮৫।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ