হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
আফতাব চৌধুরী : কথায় বলে, ‘মাছ কিনলে ইলিশ আর বিয়ে করলে পুলিশ।’ অনেক পাত্রীর প্রথম পছন্দ পুলিশ। অনেক অভিভাবকও নিজের মেয়েকে পুলিশের সঙ্গেই বিয়ে দিতে চান। তিনি পুলিশ অফিসার হতে পারেন কিংবা হতে পারেন একজন কনস্টেবল। মাঝে মাঝে প্রেমিক পুলিশের কথাও শোনা যায়। এক পুলিশ অফিসার তার প্রেমিকাকে একদিন বলেন, আমার মন চুরির অপরাধে শিগগীরই তোমাকে গ্রেফতার করে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব। তিনি কথা রেখেছিলেন। এরপর এক শুভদিনে তিনি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্য আরেক পুলিশ অফিসার বিয়ের রাতে তার স্ত্রীকে বলেছেন, আমি লাঠি ঘোরাতে পারি। পিস্তল চালাতে পারি। তুমি কী চালাতে পার? স্ত্রী বললেন, আমি টিভি চালাতে পারি। রেডিও চালাতে পারি, আর দু’হাতে তালিও বাজাতে পারি।
পুলিশে যারা চাকরি করেন, তাদের চব্বিশ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। প্রায় সারাদিন ইউনিফর্ম পরেই থাকতে হয়। প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলতে গিয়ে আমরা যখন হাঁসফাঁস করি, তখনও দেখি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশ ডিউটি করছে। শীত, গ্রীষ্ম, ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তাদের ডিউটি চলছে। গ্রীষ্মকালে হাল্কা কাপড়ের পোশাক পরেও আমরা স্বস্তি পাই না। কিন্তু পুলিশের লোকজন ভারি কাপড়ের ইউনিফর্ম, পায়ে জুতো-মোজা, মাথায় টুপি, কোমরে বেল্ট পরে দিনের পর দিন ডিউটি করে চলেছে। কাজেই তাদের মেজাজ একটু খিটখিটে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একদিন এক পুলিশ অফিসার দুঃখ করে বলেন, জানেন ভাই, পুলিশকে কেউ মানুষ বলে গণ্য করে না। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোনও প্রমাণ আছে? তিনি বলেন, অবশ্যই আছে। এই তো সেদিন তদন্ত করার জন্য একজন উকিলের সঙ্গে একটা বাড়িতে গিয়েছিলাম। কলিংবেল বাজাতেই ভেতর থেকে একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে দিল। কোনও কিছু জিজ্ঞেস না করেই ভেতরে গিয়ে জোরে জোরে বলল, বাইরে একজন মানুষ ও একজন পুলিশ এসেছে। মেয়েটি, অবশ্যই বলতে পারত, দু’জন মানুষ এসেছে। তাই বলছি, পুলিশকে কেউ মানুষ বলে ভাবে না, ভাবে পুলিশ।
রাস্তায় একবার একটা ট্রাকের পেছনে লেখা দেখেছিলাম:
‘আমি সমুদ্র তুমি ঢেউ
আমি পুলিশ তুমি ফেউ।’
পুলিশকে অনেক সময় চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। তার ওপর ঘন ঘন বদলি তো আছেই। সমতল অঞ্চল ছাড়াও পাহাড়-জঙ্গলে হামেশাই তাদের ডিউটি করতে হয়। তাই তাদের বেতন আরও একটু বেশি হওয়া উচিত ছিল। অনেককাল আগে বলা হতো:
‘পুলিশ তুমি যতই মারো
বেতন তোমার একশো বারো।’
একদিন এক দারোগা সাহেবের পকেট থেকে তার স্ত্রী ১০০ টাকা চুরি করেন। সবাই জানে, স্বামীর পকেট থেকে টাকা সরানোর নাম চুরি নয়। তবুও গল্পের স্বার্থে ‘চুরি’ শব্দ ব্যবহার করেছি। দারোগা সাহেব সঙ্গে সঙ্গে খপ করে স্ত্রীর হাত ধরে বলেন, আজ তোমাকে ছাড়ব না। আমি পুলিশের লোক। তোমাকে লালঘরে ঢোকাবই। স্ত্রী তার শাড়ির খুঁট থেকে দশ টাকার একটি নোট বের করে স্বামীর হাতে দিয়ে বলেন, এই নাও তোমার দক্ষিণা। হাতটা এবার ছেড়ে দাও। কথা আর বাড়িও না। বাড়ির বাইরে ঘুষ খাওয়া নিয়ে কোনও কোনও পুলিশের বদনাম আছে। দু-চারজন দুর্নীতিপরায়ণের জন্য একটা বিভাগের সবাইকে দায়ী করা যায় না। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘হকল মাছে ময়লা খায়, আর লাড়িয়ার উপরে দোষ যায়’। ঘুষ নেওয়ার জন্য শুধু পুলিশকে কেন দোষারোপ করা হবে ? অন্যান্য অনেক বিভাগের বহু কর্মচারীও ঘুষ নেন। ওপরতলার অনেক রাঘববোয়ালও ঘুষ খান।
মাঝে মাঝে সরকার বলে, মান্ধাতার আমলের অস্ত্রশস্ত্র নয়, পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করে তোলা হবে। এই সেদিন পত্রিকায় পড়লাম, কোন দেশের সরকার যেন বলেছে, পুলিশের ভুঁড়ি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হবে। অর্থাৎ মেদহীন করে তোলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চাইলে গোঁফ বড় করা যাবে। কিন্তু ভুঁড়িকে বড় করা চলবে না। একবার পুলিশ বিভাগে ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছিল। একজন প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলো: মনে কর, তুমি সুন্দরবনের জঙ্গল দিয়ে হেঁটে যাচ্ছ। তোমার সঙ্গে কোনও প্রকার অস্ত্রশস্ত্র নেই। হঠাৎ তোমার সামনে একটা জ্যান্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এসে হাজির হলো। তখন তুমি কী করবে? চাকরিপ্রার্থী বলল, আমি আর কী করব স্যার। আমি তো ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। তাই যা করার ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারই করবে। বলাবাহুল্য, ওই ছেলেটির চাকরি হয়নি। এখনও শিশুদের ভয় দেখানো হয় পুলিশের কথা বলে। অনেক মা বলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়। নইলে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে। বেশিরভাগ মানুষ থানা-পুলিশকে ভয় করে। মাঝে মাঝে নিরপরাধ ব্যক্তিও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সাক্ষী-সাবুদের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হলে পর ছাড়া পায়। চাকরি পাওয়ার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। কোনও কোনও বিভাগে চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগমুহূর্তে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়ে। পাসপোর্ট করাতে গেলেও পুলিশ রিপোর্টের প্রয়োজন হয়। তাইতো বয়স্ক ব্যক্তিরা ক্যারেক্টর ক্লিন রাখার কথা বলেন। একদিন একটা চোর এক খেলোয়াড়ের সোনার কাপ চুরি করে দৌড়াতে দৌড়াতে ঘরে এসে কাপটা তার স্ত্রীর হাতে দিয়ে হাঁপাতে থাকে। ওর স্ত্রী খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছ? তোমার সঙ্গে দৌড়ে আর ক’জন অংশগ্রহণ করেছিল? চোর বলল, আমি ছাড়া আরও দু’জন। সবার আগে ছিলাম আমি। মাঝখানে ছিল এক পুলিশ। আর সবার পেছনে ছিল কাপের মালিক।
শোনা যায়, পরাধীন ভারতবর্ষে ধ্বনি শুনলেই পুলিশের মাথা গরম হয়ে যেত। স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর সৈনিকদের গ্রেফতার করতে তারা উঠেপড়ে লেগে যেত। কোনও আন্দোলনের খবর পেলে প্রশাসন সর্বাগ্রে সেখানে পুলিশ বাহিনী পাঠায়। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। নিরীহ নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান জরুরি হয়ে পড়ে।
পুলিশকে নিয়ে রসিকতা করা ঠিক নয়। পুলিশ হাসি-ঠাট্টার পাত্র নয়। পুলিশকে সবাই সমীহ এবং সম্ভ্রম করে চলে। হয়তো গানটি অনেকেই শুনেছেন, ‘লাল পাগড়ি দিয়ে মাথে, তুমি রাজা হলে মথুরাতে।’ বাংলা একটি নাটকের চমৎকার একটি গান ছিল। সেই গানের একটা লাইন ছিল, ‘অর্ধেক দেবতা তুমি অর্ধেক পুলিশ।’ এক শীতের রাতে একজন ভদ্রলোক ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে শর্টকাট অর্থাৎ কোণাকুণি যাচ্ছিলেন। আশপাশে লোকজন নেই। নিঝুম শীতের রাত। হঠাৎ অপরিচিত এক যুবক এসে প্রশ্ন করল, আশপাশে কোথাও থানা আছে? ভদ্রলোক বললেন, কেন, কী হবে? এখান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি আউটপোস্ট আছে। যুবকটি এবার নিজ মূর্তি ধারণ করে বলল, কিছুই হয়নি। এখন হবে। এই বলে পকেট থেকে একটা ছোরা বের করে বলল, এখন ছিনতাই হবে। সঙ্গে ঘড়ি, আংটি, টাকা-পয়সা যা আছে সব দিয়ে দিন। নইলে খুন হবেন।
প্রায় প্রতিটি সিনেমায় পুলিশের রোল থাকে। কখনও ঝানু পুলিশ অফিসার, কখনও আবার ভাঁড় হিসেবে এদের অভিনয় অনেকেরই ভালো লাগে। বাংলা সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়ের পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ত। একদিন এক ট্রাফিক পুলিশ জনৈক অফিসারকে ফোন করে জানালেন, স্যার, একটু আগে পাশের একটি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে রাস্তায় নামামাত্র এক ভদ্রলোকের সামনে দু’জন লোক এসে রিভলবার দেখিয়ে ওনার সব টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। অপর প্রান্ত থেকে অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, কাউকে ধরতে পেরেছ? এপার থেকে ট্রাফিক পুলিশ জালালেন, একজনকে ধরেছি স্যার। যার টাকা খোয়া গেছে তাকে আটকে রেখেছি।
দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে আছে বর্ডার পুলিশ। এরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এদের কর্তব্যনিষ্ঠা আর দেশপ্রেম সবার কাছেই উদাহরণস্বরূপ। এবারে এক বর্ডার পুলিশের গল্প উপস্থাপন করছি। এক গায়িকার সঙ্গে এক বর্ডার পুলিশের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের রাতে নববিবাহিত স্ত্রী তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি গান ভালবাস? স্বামী বললেন, হ্যাঁ। এরপর স্ত্রী আবার প্রশ্ন করলেন, কী ধরনের গান তুমি পছন্দ কর? বর্ডার পুলিশ বললেন স্টেনগান! আজকাল গ্রাম তথা শহরেও চুরি-চামারি বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় বাইক চুরি ও গ্যাস সিলিন্ডার চুরির ঘটনা। একদিন গভীর রাতে এক পুলিশের বাড়িতে চোর ঢুকেছিল। তার স্ত্রী জেগে উঠে স্বামীকে ধাক্কা মেরে বললেন, ওগো তাড়াতাড়ি ওঠ। ঘরে চোর ঢুকেছে। পুলিশটি পাশ ফিরে ঘুমজড়িত কণ্ঠে বললেন, আমি উঠতে পারব না। আমার এখন ডিউটি নেই। আজকাল রাস্তাঘাটে মহিলাদের গলার হার ছিনতাই হয়। ভ্যানিটি ব্যাগ তথা মানিব্যাগও চুরি হচ্ছে। একদিন এক চোর এক মহিলার গলার হার ছিনতাই করে দৌড়ে পালাচ্ছিল। মহিলাটি চোর চোর বলে চিৎকার করতেই একজন পুলিশ ওই চোরের পিছু নিয়েছিলেন। চোরটি যখন ধরা পড়ে যাচ্ছিল তখনই যে বুদ্ধি করে একটা নালায় ঝাঁপ দিল। পুলিশ নালায় নেমে ওকে ধরতে চাইলে চোরটি প্রায় গলাপানিতে দাঁড়িয়ে বলল, এটা পানি পুলিশের এলাকা নয়। তুমি আমাকে ধরার কে? তুমি বিদায় নাও।
সম্প্রতি কোনও এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে অপহৃত শিশুকন্যা তৃষা ওরফে শুভমিতা রায় চৌধুরীকে চাকার এক সেলুন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওদের চাপ ছিল বলেই অপহরণকারীরা শিশুটিকে ছেড়ে দিয়েছে। অনেকেই এখন বলছেন, এই উদ্ধারকার্যের কৃতিত্ব এককভাবে পুলিশের নয়। সংবাদমাধ্যম এবং সোস্যাল মিডিয়াসহ কিছু সংগঠন তৃষার ছবি ছাপিয়ে প্রকাশ করায় উদ্ধার কাজে সহায়ক হয়েছে। অনেকে এও বলছেন, অপহরণকারীরা শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার পর শ্রমিক বস্তি এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালালে হয়তো অপরাধীরা ধরা পড়ে যেত।
এদিকে, রায়চৌধুরী পরিবার থেকে পরিচারিকা রম্ভা ওরফে নেহা বাগতির উদ্ধারের আর্জি জানানো হয়েছে। নেহা উদ্ধার ও বাকি অপহরণকারীদের গ্রেফতার করাই এখন পুলিশের প্রধান কাজ। এ ঘটনার পাশাপাশি আরও একটি ঘটনায় এলাকার শান্তি বিঘিœত হতে যাচ্ছিল। এক হিন্দু যুবতীর ভিনধর্মী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বরিশাল শহর। সেই ঘটনার উত্তাপ কিছুটা হলেও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে আছড়ে পড়েছিল। পুলিশ ও প্রশাসনের সময়োচিত হস্তক্ষেপে পানি বেশিদূর গড়ায়নি। এজন্য বরিশাল জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। একইসঙ্গে ঐ জেলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করায় সারা জেলায় আবার শান্তি বিরাজ করছে।
পুলিশ নিয়ে যত কৌতুক, রসকথা ও গল্প চালু থাকুক না কেন, পুলিশ সম্পর্কে যত ক্ষোভ-অসন্তোষ মানুষ পোষণ করুক না কেন, এ কথা তো নিরেট সত্য, পুলিশ ছাড়া আমাদের চলে না। আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে পুলিশের অপরিহার্যতা প্রশ্নাতীত। আমরা চাই সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ, বান্ধব পুলিশ। পুলিশের তাবৎ কর্মকর্তা ও সদস্য এই নাগরিক-প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা ব্রতী ও সচেষ্ট থাকবেন, এটাই আমাদের একান্ত কামনা।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।