ঝিনাইদহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী স্মৃতি খাতুন নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজের চার দিনেও তার খোঁজ মেলেনি। পরিবারটিতে এখন শোকের ছায়া বিরাজ করছে। স্মৃতির পিতা-মাতা ভাই বোন সর্বক্ষন কান্নাকাটি করছে।

এ বিষয়ে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পারিবারিক সুত্রে বলা হয়েছে, স্মৃতি খাতুন গত বুধবার সকালে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। পরে আর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। মেয়েকে না পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর পিতা শ্রমিক নেতা মনোয়ার হোসেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৩১৯) করেন।

পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্মৃতি খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার মোকিমপুর গ্রামে। মেয়ের পিতা মনোয়ার হোসেন বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মাহবুবর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্মৃতি ক্লাস করার উদ্দেশ্যে বুধবার সকালে বাসা থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। স্মৃতি বিবাহিত বলেও মনোয়ার হোসেন জানান। ওই ছাত্রীর পিতা আরও জানান, স্মৃতি যখন নবম শ্রেণির ছাত্রী তখন তার মানসিক সমস্যা ছিল। তার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। বর্তমানে সে সুস্থ।

ট্রাক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন কলেজে পড়ার সময় হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রণি নামে একটি ছেলে কিডন্যাপ করার হুমকি দেয়। আমার মেয়ে স্মৃতিকে সে সময় রণি হুমকি দিয়ে বলেছিলো এমন এক দিন আসবে যখন তোমার বাবাকে আমার পা ধরতে হবে। এতে ওই ছেলের প্রতি তার সন্দেহ জন্মেছে বলেও মনোয়ার জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে বলা হয়েছে। ইবি থানার ওসি রতন শেখ বলেন, স্মৃতিকে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তার কললিস্ট মোবাইল অপারেটরদের কাছে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের সব থানায় তার ছবি এবং তথ্য দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।