বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, বিএনপিকে নিয়ে সরকার মাথা ঘামাচ্ছে। এই বিএনপির অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। এই বিষবৃক্ষ বিএনপিকে সরকারই বাঁচিয়ে রেখেছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতিনিধি সম্মেলনে এরশাদ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি চায় না, হাওয়া ভবন চায় না। তারা এই সরকারও চায় না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায় এই শ্বাসরুদ্ধর পরিস্থিতি থেকে। ক্ষমতায় যেয়ে লুটপাট নয়, শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই পরিবর্তনের জন্য। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করার জন্য নয়।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ চান না বলে জানান এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘৃণা করি। আমরা সাংবিধানিক সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাব।’
৫৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জাপার নেতৃত্বে বিএনএ গঠনের পর এই প্রথম জোটের সম্মেলন হলো। জোট সম্পর্কে এরশাদ বলেন, ‘জোট বড় করতে পারতাম। অনেকেই ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু সরকার মনে করল, আমাদের দল শক্তিশালী হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাই বাধা দিয়েছিল। বাধা দিয়ে কি হবে, বন্যার পানিকে কি বাধা দিয়ে রাখা যায়?’
জোটের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘প্রস্তুতি গ্রহণ করো। এই দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ ও জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি। তিনি বলেন, বিএনএ ও এরশাদ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এ দেশের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা একটা ফাঁকিবাজি। এ পদ্ধতিতে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের মানুষ এই পদ্ধতি থেকে মুক্তি চায়। তাই রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
দুই-এক দিনের মধ্যে বিএনএ কর্মসূচি দেবে বলে জানান সেকেন্দার আলী।
সম্মেলনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ গ্রামীণ পার্টিসহ বিএনএ জোটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।