বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডাক্তার চেম্বার ঘিরে রিকশাচালক দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব দালালদের খপ্পরে পড়ে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে প্রতিদিন প্রতারণার শিকার হচ্ছে শত শত রোগী। চিকিৎসাসেবা ও রোগ নির্ণয়ের নামে কুমিল্লায় বেশ কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে যারা রোগী ধরা বাণিজ্যের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ‘কমিশন’ কেন্দ্রিক আর্থিক সখ্যতা রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানগুলোই দালাল লালন করে আসছে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন দালাল নির্ভর হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পথ বের করতে হবে। কারণ এসব দালালরাই কুমিল্লার নামি-দামি হাসপাতাল ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নাম ব্যবহার করে রোগী বা স্বজনের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
কুমিল্লা নগরীর বাসস্ট্যান্ড, রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও হাসসপাতালের সামনে অপেক্ষমান রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশার অর্ধশতাধিক চালক সহজ সরল রোগীদের পছন্দের হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে না নিয়ে বিভ্রান্ত করে চালকদের কমিশনপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ডাক্তার চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছে দেয় চালক নামের দালালরা। তবে নগরীতে কয়েকটি হাসপাতাল, ডায়াগণস্টিক সেন্টার ও কতিপয় ডাক্তার চেম্বার ঘিরে রিকশাচালক দালালদের দৌরাত্ব্যই বেশি। বাসস্ট্যান্ড, রিকশাস্ট্যান্ড ছাড়াও হাসপাতাল ও ডাক্তার চেম্বারের সামনে চালকরা রোগী ধরার জন্য ওৎ পেতে থাকে। চালক দালালরা রোগীর রোগ পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরে এলে বা নির্দিষ্ট ডাক্তার না পেয়ে বাইরে অপেক্ষায় থাকলে তাদেরকে ফুঁসলিয়ে যেখানে কমিশন পেয়ে থাকে সেসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে, বাসস্ট্যান্ডে রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশার একশ্রেণির চালকরা ওৎ পেতে থাকে। তারা নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষের কমিশনপ্রাপ্ত দালাল। রোগী বা তার অভিভাবক যেতে চায় তাদের পছন্দের ডাক্তার, হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কিন্তু দালাল চালক তাদের নিয়ে যাচ্ছে সে কমিশন পায় এমন ডাক্তার বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে। এটা রিতীমত প্রতারণা। ওইসব বাহনের চালকরা যেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ নয়, তাই তাদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কোনব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে যেহেতু এটা প্রতারণা তাই ওইসব চালক দালালদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হাতে নিতে পারে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন। চালক দালালদের ধরতে পারলেই জানা যাবে কোন কোন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তার ওইসব দালালদের রোগী ধরার কাজে নিয়োজিত রেখেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।