Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ বছরে চট্টগ্রাম পানিবদ্ধতা মুক্ত হওয়ার আশাবাদ -সিডিএ চেয়ারম্যানের

| প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম আগামী ৫ বছরে চট্টগ্রাম পানিবদ্ধতা মুক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল (শনিবার) নগরীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ৫ বছর পর চট্টগ্রাম ৫০ বছর এগিয়ে যাবে। তখন চট্টগ্রাম যানজটমুক্ত, পানিবদ্ধতামুক্ত একটি দৃষ্টিনন্দন বাণিজ্যিক নগরীতে পরিণত হবে। তিনি বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য নগরী উপহার দিতে পারব।
‘চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন: খনন, স¤প্রসারণ, সংষ্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। মতবিনিময় সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, এগুলোর বাস্তবায়ন এবং একনেকে অনুমোদিত পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নগর উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন। গত আট বছরে সেই দায়িত্ব পালনে আমি অবিচল ছিলাম। আমি আমার যোগ্যতা, মেধার পুরোটাই এ কাজে নিয়োজিত করার চেষ্টা করেছি।
সিডিএ চেয়ারম্যান জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। শুধু জিইসি মোড়ে র‌্যাম্পের কাজ চলমান থাকবে এবং পুরো ফ্লাইওভারের কাজ আগামী বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ সম্পন্ন হবে। আগামী অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে প্রায় ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কাজ। এ ফ্লাইওভারের টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টমস, ইপিজেড, কেইপিজেড এলাকায় বাসস্ট্যান্ড থাকবে। যাতে সহজেই গণপরিবহন চলাচল করতে পারে। ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত বাইপাস রোডের কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের দিকে এ বাইপাস সড়কটি নগরবাসীকে উপহার দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান। পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোডের কাজও ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে ২০১৯ সাল নাগাদ।
একনেকে অনুমোদিত ‘চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন: খনন, স¤প্রসারণ, সংষ্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান এবং ওয়াসার প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান আপডেট-২০১৬-র সমন্বয়ে পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। এ প্রকল্পের আওতায় ৫টি খালে ¯øুইস গেট নির্মাণ করা হবে। সিডিএর অন্যান্য প্রকল্প মিলে আগামী ৩ বছরে মোট ২৮টি ¯øুইস গেট নির্মাণ হবে নগরীতে। আর এগুলো নির্মাণের পর নগরীর সিডিএ, আগ্রাবাদ, খাতুনগঞ্জ, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট এলাকায় আর পানিবদ্ধতা হবে না। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, স্থপতি সোহেল শাকুর, সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিধ শাহিনুল ইসলাম খান, উপ-সচিব অমল গুহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ