পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে দেশের বর্তমান অবস্থার আসল চেহারা উঠে আসায় সরকার ও আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সংবিধানের রক্ষক হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। রাষ্ট্র যখন ধ্বংসের পথে, তখন দায়িত্ববোধ থেকেই সুপ্রিমকোর্ট মুখ খুলেছেন। রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, এরপর সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসায় নৈতিকতার ধারে কাছে নেই আওয়ামী লীগ। তারা এখনও বন্দুক-পিস্তল নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। গতকাল (শনিবার) সকালে রাজধানীতে এক দোয়া মাহফিলের আগে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৮ অগাস্ট লন্ডনের মুরফিল্ড আই হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডান চোখে অস্ত্রোপচারের পর তার আরোগ্য কামনায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বন্দুকের গুলির ওপর ভর করে ক্ষমতায় আছে। বন্দুক-পিস্তল না থাকলে তারা এক সেকেন্ডও রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না। গত (শুক্রবার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, এখন তাদের খুব দুঃসময়; এখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। এই রায়কে বিএনপি রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তার উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে নৈতিকতা শেখানোর আগে সড়কে বেহাল দশার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র চালাতে পারছে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এয়ারপোর্টের মধ্যে তিনতলায় আগুন লাগে, সমস্ত বন্ধ করে দিতে হয়। হজযাত্রীরা যেতেও পারছেন না, একটার পর একটা সমস্যা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তোমরা ঢাকা শহরের রাস্তা ঠিক করতে পার না। বাইরের কথা বাদই দেন।
তিনি বলেন, আমরা বার বার বলছি, এই সরকার বিশেষ করে এই রায়ের পর্যবেক্ষণের পরে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে, এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই ক্ষমতায় বসে থাকার। জোর করে বসে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া দেওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। আবার বলে কিনা, দেশে তো গণতন্ত্র আছে, গণতন্ত্রের ওপর কোন আকাশ ভেঙে পড়ল যে, আপনাদেরকে সহায়ক সরকার দিতে হবে? আমাদেরকে তোমরা সাধারণ সভা করতে দাও না, আমাদেরকে মাঠের মধ্যে জনসভা করতে দাও না। ঢাকার বাইরে গতকালও (শুক্রবার) চাঁদপুর থেকে আমাকে টেলিফোন করেছিল ম্যাডামের আরোগ্য কামনায় মিলাদ করতে চেয়েছিল, তাদেরকে বাইরে মিলাদ করতে দেয়নি। শেষে মসজিদের ভেতরে গিয়ে তারা মিলাদ করেছে। সব জায়গায় এসব কাজ করছে। এখন সেখানে তাদের ভয় যদি মিলাদ করতে গিয়ে এসে বসে পড়ে, এখান থেকে আবার যদি আন্দোলন শুরু হয়ে যায়, সেখানে ক্ষমতা চলে যায়। যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরুর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিএনপির অংশ নেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু। দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোস্তফা কামাল রিয়াদ এবং গোলাম মাওলা শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।