Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ৪ থানায় পাঁচ মামলা

| প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ডায়মন্ড আটক এবং এসব মূল্যবান সামগ্রী কর নথিতে উল্লেখ না করে গোপন রাখার অপরাধে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। গতকাল শনিবার রাজধানী ৪টি থানায় মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গুলশানে ২টি, ধানমন্ডিতে ১টি, রমনায় ১টি ও উত্তরা থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম. আর জামান বাধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও মো. আরিফুল ইসলামন্ডল মামলাগুলোর বাদী হয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, আপন জুয়েলার্স তিন মালিক-দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকে গতকাল এ মামলাগুলো করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬(৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা এই মানিলন্ডারিং মামলাগুলোর তদন্ত করবে। এর আগে আপন জুয়েলার্স এর বিরুদ্ধে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদ করার অভিযোগে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় ৫টি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে। আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, মানিলন্ডারিং, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকি ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনজনিত দুর্নীতি হওয়ায় দুদক আইনে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের ৫ টি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণের ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ ও ডায়মন্ড পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ