পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো রুম থেকে জব্দ করা স্বর্ণের হিসাবের জন্য আর কোনো সময় দিবে না শুল্ক গোয়েন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জব্দ করা সোনার বিপরীতে হিসাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চাইলে, শুল্ক গোয়েন্দারা সময় না বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেন। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সাফিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে ১২৫ কেজি সোনার হিসাব দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো জব্দ করা সোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তিনি বলেন, সোনার যে হিসাব তারা দিয়েছেন, এগুলো লাগেজ সুবিধায় দেশের বাইরে থেকে আনা। তারা এসব সোনার বার খুচরা আকারে কিনেছেন। কিন্তু সোনা কেনার কাগজপত্র এবং পারচেজ রেজিস্টারের সঙ্গে গরমিল রয়েছে। অনেকের মতে, এক আপন জুয়েলার্সের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে দেশের বাকী নামী দামী জুয়েলার্সেরও তো একই অবস্থা হওয়ার কথা। শুল্ক গোয়েন্দারা তা জেনেও কেনো চুপ করে বসে আছেন? তারা কেনো সেগুলোতে অভিযান চালাচ্ছেন না? এর আগে এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদও বলেছিলেন, একটা ভাত টিপলে পুরো হাঁড়ির ভাতের খবর জানা যায়। এক আপন জুয়েলার্সের অবস্থা দেখে বাকীগুলো অবস্থা সহজেই অনুমেয়। শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের উচিত সেগুলোতেও অভিযান চালানো।
বনানীর ঘটনার পর স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ মদের ব্যবসা নিয়ে পত্রপত্রিকাসহ মিডিয়ায় বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু এক আপন জুয়েলার্স আর রেইনট্রি হোটেল ছাড়া শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের চোখে অন্য কোনো কিছু পড়েনি। গুলশান, বনানীর হোটেল, বার, গেস্ট হাউস এমনকি বাসা বাড়িতেও প্রকাশ্যে মদের পার্টি চললেও সেদিকে শুল্ক গোয়েন্দাদের কোনো নজর নেই। গুলশানের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ শুধু আপন জুয়েলার্স ও রেইনট্রি হোটেল দিয়ে যদি তাদের কৃতিত্ব মানুষকে দেখাতে চান তাহলে তারা ভুল করবেন। কারণ মানুষ ইতোমধ্যে সবকিছু জেনে গেছে। শুল্ক কর্মকর্তারা সবকিছু জেনেও কেনো চুপ করে বসে আছেন সেটাও মানুষ জানে।
এদিকে, আপন জুয়েলার্সের পক্ষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যারিস্টার মো. সাইফুল সিরাজ। তিনি বলেন, আমাদেরকে জব্দ করা মালামালের বৈধ হিসাব দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। আমরা পাঁচটি ইউনিটের বিভিন্ন উৎস থেকে জব্দ করা মালামালের কিছু হিসাব দিয়েছি। বাকি মালামালের হিসাব দেওয়ার জন্য আমাদের আরও সময় প্রয়োজন। আমরা শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়েছি। এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাফিউর রহমান বলেন, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ১২৫ কেজি সোনার হিসাব দিয়েছে। বাকি সোনার হিসাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছে। তবে সময় দেওয়া হবে কিনা, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।