পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণে কোন ধরণের গাফলতি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরো সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে এ অর্থবছরের সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন গাফিলতি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কিত মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সাথে মতবিনিময় এবং নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের মাঝে মটর সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে আট বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৮৫১টি একাডেমিক ভবন নির্মান করা হয়েছে এবং আরো এক হাজার ৫১টি ভবনের নির্মান কাজ চলছে। ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩২৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হবে। ৩ হাজার ২২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার ৫০০ কলেজ ভবন নির্মান করা হয়েছে। আরো এক হাজার ১৭০টি ভবনের নির্মান কাজ চলছে। ২০০টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সম্প্রসারণে এক হাজার ৮০৫ কোটি টাকার কাজ এ মাসেই শুরু হচ্ছে। ২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজগুলোতে ছাত্রী হোস্টেল নির্মান করা হবে। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক হাজার ১৮৩টি ভবন নির্মান করা হয়েছে। আরো ২ হাজার মাদরাসা ভবন নির্মান প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৮৪টি একাডেমিক ও আবাসিক ভবন, শিক্ষার্থী হল ও গবেষণা ভবন নির্মান করা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে উনিশ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।