Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তামনির প্রাথমিক অস্ত্রোপচার সফল, তবে ঝুঁকিমুক্ত নয়: চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ২:০৫ পিএম

বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির হাত রক্ষা করেই প্রাথমিক অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে আরও একাধিক অস্ত্রোপচার করতে হবে তার শরীরে। তাছাড়া এ মুহূর্তে তাকে ঝুঁকিমুক্তও বলা যাবে না।
শনিবার অস্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্লাস্টিক সার্জন ও একই প্রতিষ্ঠানের অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ ১৫ চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের।
শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়। এর আগে সকাল ৯টায় তার হাতে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এরও আগে মুক্তামনিকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।
অস্ত্রোপচার শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, মুক্তামনির শরীরে প্রাথমিক অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তার হাতটি রক্ষা করেই হাতের ক্ষত অংশ কেটে আলাদা করতে পেরেছি। তবে তার শরীরে পর্যায়ক্রমে আরও একাধিকার অস্ত্রোপচার করতে হবে। এ মুহূর্তে সে ভালো আছে, কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না। রক্ত ক্ষরণ দেখা দেয়ার আশঙ্কা আছে।
তিনি আরও বলেন, শঙ্কামুক্ত হলে এর পর প্রতি সপ্তাহে একবার করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার শরীরের অন্য ক্ষতগুলো দূর করা হবে। আমরা আশা করছি হাতের ক্ষত আর ফিরে আসবে না। তবে ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

মুক্তামনিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে। এর পরই অস্ত্রোপচারের এ দিন ধার্য করা হয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মুক্তামনির জীবন রক্ষার্থে যদি তার রোগাক্রান্ত হাতটি কেটে ফেলতে হয়, তবে তা-ই করবেন তারা। অবশ্য হাতটি রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
এর আগে গত শনিবার সকালে মুক্তামনির বায়োপসি করা হয়।
গত মাসে সাতক্ষীরা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তামনিকে সরকারি উদ্যোগে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।



 

Show all comments
  • Miah Muhammad Adel ১৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০৭ এএম says : 0
    হাশরের দিন বিচার বসিয়া শুধাবেন জগতস্বামী "তুমি তো আমায় কর নাই সেবা রূগ্ন ছিলাম আমি"। "জীবে প্ররেম করে যেইজন সেইজন সেবেছে ঈশ্বর" "He prayeth best who loveth best He prayeth well who loveth well all things both great and small For the Dear God Who loveth us and made us all" Good job from the Prime Minister and the Health Minister. Hope they take care the same way all patients who do not have the resources to get the treatment. আল্লাহ তাকে সুস্থ করুণ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ