Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাধবপুরে রাস্তা কর্দমাক্ত বর্ষায় জনদুর্ভোগ চরমে

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জালুয়াবাদ গ্রামের রাস্তাটি তিন যুগেও পাকা হয়নি। এতে ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে হাঁটু সমান কাদা দিয়ে জনগণকে চলতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে পরিবহন সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। জালুয়াবাদ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা জাহের ময়া ফকির জানান, জালুয়াবাদ, চন্দ্রপুর, ফরিদাবাদ, রাজেন্দ্রপুর ও কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ একমাত্র এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু কাচা রাস্তা হওয়ায় এখন বর্ষা মৌসুমে চলা দায় হয়ে পড়েছে। হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলী ২০১৫ সালে জালুয়াবাদ গ্রামে এক সংবর্ধনা সভায় জনগণকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের রাস্তাটি যে কোনো মূল্যে পাকা করা হবে। এমপির নির্দেশে মাধবপুর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী বিভাগের লোকজন মাপ জোঁক করে রাস্তাটি পাকা করণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রেরণ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাস্তাটি পাকা করণের উদ্যোগ এখনও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জালুয়াবাদ গ্রামের ইসরাত জাহান তানহা নামে এক স্কুলছাত্রী জানান, এখন বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। কাদা মাটি দিয়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। জালুয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাপ খান জানান, এ রাস্তাটি পাকা করা গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল। সংসদ সদস্য রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ২ বছর আগে রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য প্রতিশ্রæতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু এটি পাকা না হওয়ায় গ্রামবাসী হতাশ হয়েছেন। তাই আমাদের দাবি সংসদ সদস্য এ রাস্তাটি দ্রæত পাকাকরণের রাস্তব উদ্যোগ নিবেন। সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ রাস্তাটি আসলেই খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য চুড়ান্ত করা হয়েছে। এখন অর্থ বরাদ্দের ছাড় পেলেই পাকা কাজের বাস্তবায়ন হবে। গ্রামবাসীর মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ তানজির উল্লাহ সিদ্দিকী জানান, এটি পাকা করণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে আগেই। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দসহ কোনো অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ