Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চৌদ্দগ্রামে প্রয়োজনীয় স্থানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় প্রয়োজনীয় স্থানে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ না করায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় স্থানে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুটওভারব্রিজগুলো কোনো কাজে আসছে না। ওভারব্রিজ দিয়ে চলাচল করছেন না পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হওয়ার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, মহাসড়কের মিয়াবাজার থেকে পদুয়া রাস্তা মাথা পর্যন্ত ছয়টি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ওভারব্রিজ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। অথচ তা আজ ‘অকারণ দাঁড়িয়ে’ আছে। ছয়টি ফুটওভারব্রিজের মধ্যে কিছু পথচারী মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের সামনে নির্মিত দুইটি ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করছে। অন্য চারটি ব্যবহার করছে না পথচারীরা। সরেজমিন গিয়ে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার সময় (যখন ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি) মহাসড়কের বিভিন্ন বাজারকেন্দ্রিক মাঝামাঝি স্থানে মানুষ যাতায়াতের মতো স্থান ফাঁকা রাখা হয়। আবার অনেক স্থান দিয়ে পথচারীসহ মোটর সাইকেল, রিকশা ও ছোট যান পারাপারের জায়গা রাখা হয়। এতে করে পথচারীরা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে না। পথচারীদের পারাপারে সুযোগ দিতে সড়কে চলাচলরত দ্রæতগামী বাস-ট্রাকগুলোকে তাদের গতি কমিয়ে আনতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, চলমান গাড়িগুলো থেমে থাকে আর পথচারীরা পারাপার হচ্ছে। দ্রæত গতিতে আসা কিছু যান খুব জোরে ব্রেক কষেও পথচারীদের রক্ষা করতে পারে না। সড়কের মাঝে ফাঁকা স্থানগুলো আজো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ফুটওভারব্রিজগুলোর পাশে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক বিভিন্ন নামে শুভেচ্ছা জানিয়ে কিংবা দোকানের বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যানার আর ফেস্টুন লাগিয়ে রেখেছে। সবচেয়ে দৃশ্যমান হলো; চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চৌদ্দগ্রাম এইচ জে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভারব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানে চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘শিবু’ নামের একজন গাইডম্যান রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরুর আগে ও বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর ওই গাইডম্যান ‘লাল ফিতা’ সম্বলিত পতাকা ব্যবহার করে গাড়ি থামিয়ে ছাত্রীদের সড়ক পার করিয়ে দেয়। বিনিময়ে বিদ্যালয় থেকে তাকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা শিগগিরই ওইস্থানে একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটিতে ফুটওভারব্রিজ না থাকায় ছাত্রীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ কারণে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একজন গাইডম্যান রাখা হয়েছে- যাতে ছাত্রীরা নিরাপদে সড়ক পার হতে পারে। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট শিগগিরই একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের দাবিও জানান’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ