পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অপসারণ দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘তার যদি নৈতিকতা থাকে তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। না হলে আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।’ গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার (প্রধান বিচারপতি) যদি সামান্যতম জ্ঞান থাকে, সামান্যতম বুঝ থাকে, তাহলে স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। তা না হলে আগামী মাস থেকে আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।’
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, বিএনপির সুরে কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশি দিন এই মসনদে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে, এখন আর চোখ বুজে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এখন কে কী রক্ত চক্ষু দেখাবেন, সেই রক্ত চক্ষু সহ্য করব না। অবশ্যই আমরা তার অপসারণ চাই।’
ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এ নেতা বলেন, ‘আপনার ওপরে কে আছর করেছে? ডক্টর কামাল হোসেন, শাহদীন মালিক, আসিফ নজরুল কারা আছর করেছে আপনার মাথায়? কাদের নির্দেশে, কাদের ড্রাফট (খসড়া) করা থেকে এই পর্যবেক্ষণের অংশটুকু আমরা বুঝতে পারছি না। আপনি এই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের উসকে দিচ্ছেন। আবার বলছেন রাজনীতি না করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জনককে যখন কেউ খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, মুক্তিযুদ্ধকে যদি কেউ অপমান করে, মুক্তিযুদ্ধকে যদি কেউ খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, আমাদের আদর্শের বিরুদ্ধে যদি কেউ কথা বলে, আমাদের দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে যদি কথা বলে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যদি কেউ কথা বলে, গণতন্ত্র হত্যায় পরোক্ষভাবে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করেন তার বিরুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কথা বলার অধিকার আমার অবশ্যই আছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে বলেন, ‘ভাবখানা এই যে, পার্লামেন্টে যদি জজের বিরুদ্ধে কোনো কমপ্লেইন (অভিযোগ) যেত, তাহলেই তিনি বহিষ্কৃত হতেন। তা নয়। সেখানে কী ছিল? সেখানে ছিল কমপ্লেইন (অভিযোগ) দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি হবে। সেই তদন্ত কমিটিতে বাইরের লোক থাকারও প্রভিশন (বিধান) রাখা হয়েছিল। এবং সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট (প্রতিবেদন) যদি সঠিক হয়, পার্লামেন্ট সদস্যরা যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলেই সেখানে একটা বিচারের ব্যবস্থা করা হতো। এটা নয় যে একতরফাভাবে কোনো কিছু পার্লামেন্টে গেলেই শুধু পাস করে দেওয়া হবে। নো।’ প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্বাচীন বলা হয়। তো সেই অর্বাচীন দ্বারা নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, সেই প্রেসিডেন্ট দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি কী হয়? এই কথা আমি ওনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’
ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে বিশেষ অতিথি আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের বিচারকেরা যা বলতে চেয়েছেন, আমি সামান্যতম বুঝেছি। তার সঙ্গে আমাদের কিছু বিশেষজ্ঞও বিচারকদের সঙ্গে সায় দিয়েছেন। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি, তাদের বানানো হয়েছিল অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু)। আমরা আশা করেছিলাম, তারা পক্ষে-বিপক্ষে সব পথে আর্গুমেন্ট (যুক্তি-তর্ক) করবেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, তারা এগুলো বলেননি। আর জজ সাহেবেরা যে রায় দিয়েছেন, সেই রায়ের মধ্যে কতগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন আমাদের বিচারকবৃন্দ। তাতে আজ জাতি অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ।’
আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী নজিব উল্লাহ হিরু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।