বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : দু’সপ্তাহে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের ফরম পূরণ করেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৬১জন। খুলনায় (গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত) ৩৫ হাজার ২৭৪জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। এ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। নতুন ভোটার বৃদ্ধির টার্গেট রয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গত ২৫ জুলাই থেকে গতকাল বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় খুলনা মহানগরীসহ বিভাগের দশ জেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথা। এ সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারাই। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে, তাদের ভোটার করা হবে এ হালনাগাদে। তবে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহে ভোটারের বাড়ি বাড়ি না যাওয়ায় ভোটার হওয়ার যোগ্য অনেকেই (ভোটার) তালিকা থেকে পড়ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। প্রচার-প্রচারণার অভাবে অধিকাংশ নাগরিক জানতেই পারেনি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য! লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার জন্য এ দু’টি কারণকে দায়ী করছেন বাদ পড়ে যাওয়ারা।
নির্বাচন অফিসের সূত্র জানান, খুলনা মহানগরীসহ নয় উপজেলায় নতুন ভোটার বৃদ্ধির টার্গেট ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। সেই অনুযায়ী নতুন ভোটারের সংখ্যা হবার কথা ৬১ হাজার ৭২৮জন। গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২৭৪জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগৃহিত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলা ও মহানগরীর ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৮ ভোটারের মধ্যে মৃত ভোটার বাদ পড়েছে ১৬ হাজার ১৩২জন। গত পরশুদিন পর্যন্ত নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য তথ্য ফরম পূরণ করেছে কয়রায় ৩ হাজার ৪১৫, খুলনা সদরে ২ হাজার ৭৩৮, ডুমুরিয়ায় ৪ হাজার ৬৩২, তেরখাদায় ২ হাজার ৯৫৫, দাকোপে এক হাজার ৯৫০, দিঘলিয়ায় ৩ হাজার ৮, দৌলতপুরে এক হাজার ৩০৪, পাইকগাছায় ৩ হাজার ২৫৯, ফুলতলায় এক হাজার ৭৮৮, বটিয়াঘাটায় ৩ হাজার ৩২৫, রূপসায় ২ হাজার ৪৬৮, সোনাডাঙ্গায় ৫ হাজার ১১৪জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত গড়ে নতুন তথ্য সংগৃহিত হয়েছে ২ শতাংশ। নতুন ভোটার বৃদ্ধির টার্গেট ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। বুধবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা পর্যায় থেকে তথ্য এসে পৌঁছায়নি জেলা নির্বাচন অফিসে।
এরপরই প্রথম পর্যায়ে ২০ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ঈদ উল আযহার ছুটি ব্যতীত) কয়রা, তেরখাদা, রূপসা ও ফুলতলা উপজেলার তথ্য সংগ্রহকারী ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য ছবি তোলা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত (দুর্গাপূজার ছুটি ব্যতীত) মহানগরীর খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, দৌলতপুর থানা ও পাইকগাছা উপজেলার নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য ছবি তোলা হবে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে ১৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, দাকোপ ও দিঘলিয়া উপজেলার নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য ছবি তোলা হবে।
নগরীর টুটপাড়ার ২৮, মাস্টারপাড়া মেইন রোডের মোঃ আলাউদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া আফরিন বলেন, “এবার ভোটার হবো কতো আগ্রহ নিয়ে ঢাকায় থেকে খুলনায় আসলাম। কিন্তু তথ্য সংগ্রহের জন্যে তো কেউ আসলো না বাড়ীতে। এখন শুনছি তথ্য সংগ্রহ করা শেষ! তাহলে কি হবে?”
খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী জানান, নতুন ভোটারদের ছবি তোলার সময়ে ওই কেন্দ্রে সরাসরি গিয়ে বাদপড়া নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্যরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বৃহস্পতিবার তথ্য সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবো। এসব ভোটারদের খসড়া তালিকা আগামী বছরের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। একই বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানান, তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলেও বাদ পড়া ভোটারযোগ্য নাগরিক বছরের যে কোনো সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলায় গিয়ে তথ্য দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। চলমান হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করার পর যেখানে নিবন্ধনের কাজ হবে সেখানে গিয়েও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত খুলনা বিভাগে এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৬১জন তথ্য ফরম পূরণ করেছেন। আবার খুলনা অঞ্চলে ৮০ হাজার ৪৬৪জন মৃত ভোটারের তথ্য নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।