রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপনের ধুম লেগেছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হলেই দল বেঁধে কৃষক ছুটে চলে মাঠের প্রাণে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে তারা রোপা আমন ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ জমিতে পানি দিচ্ছেন কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, কেউবা চারা রোপন করছেন। বাংলাদেশের মানচিত্রে সবচেয়ে উষ্ণ ও কম বৃষ্টিপাতের এলাকা হিসেবে পরিচিত লালপুর থানা। এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে কিছু পরিমানে বৃষ্টি পাত হয়। পানি সেচ কম লাগাই এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা হিসেবে রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। এখানকার কৃষকরা খরিপ-১ মৌসুমের ভুট্টা, মুগডাল, পাট, তিল কেটে আষাঢ়ের শেষে এই রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ওয়ালিয়া, ফুলবাড়ি, নাওদাঁড়া, বড়ময়না মাঠে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ জুড়ে সবজু ধানের কচি চারায় মাঠ ভরে উঠেছে। উপজেলার ওয়ালিয়ায় রোপা আমন ধানের জমি চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রের যুগে প্রয়োজনের তাগিদে পাওয়ার টিলারের পাশা পাশি গরুর লাঙ্গল দিয়ে কিছু পরিমাণে জমি চাষ করছেন।
এ ব্যাপারে ওয়ালিয়া গ্রামের ধান চাষী সোহেল রানা, হাবিবুর রহমান, মোস্তফা, সিরাজ,শফিকুল ইসলাম, রিপন, রফিকুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাই এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকেরা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে রোপা আমন ধান রোপন করছেন। পানি সেচ না লাগায় গত বছরের তুলনাই অনেকটা কম খরচেই রোপা আমন ধান লাগানো যাচ্ছে। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষে লাঙ্গল, সার, রোপন খরচ হিসেবে প্রথম খরচ হচ্ছে ৩হাজার টাকা। রোপা আমন ধান কেটে ঘোরে তোলা পর্যন্ত ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ২০ মণ ধান পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এ বছর ধানে আশানুরূপ ফল হবে। উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য মতে জানা গেছে, এবছর লালপুর উপজেলায় প্রায় ৭০০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হতে পারে তার জন্য উপজেলায় প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের বীজতলার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ৫০০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। হাইব্রিট জাতের ধানের ফল ভালো হওয়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে বেশির ভাগ কৃষক জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিট জাতের ধানের চারা রোপন করেছেন। তার মধ্যে ধানি গোল্ড, সম্পদ, ব্রি-ধান-২৯,১১,৫২,৩৪,৩৯,বিনা-৭, মিনিকেট, উলেখযোগ্য। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলছেন, উপজেলা প্রায় ৭০০০ হেক্টর জমি রোপা আমন ধানের জন্য ধরা হলেও বছরের শুরুতেই বৃষ্টির হওয়ায় এই উপজেলার কৃষকেরা লক্ষমাত্রার অধিক হারে রোপা আমন ধানের চাষ করছে। ইতি মধ্যে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর লালপুর থানায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।