Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাবার অবমাননাকারী ও ধর্মদ্রোহীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করতে হবে

শিপনকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে কঠোর আন্দোলন

| প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্মারকলিপি কর্মসূচিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় পবিত্র কাবাঘরকে অবমাননা করে ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাশ মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে। তিনি বলেন, পবিত্র কাবা যিয়ারতের জন্য বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ পবিত্র বায়তুল্লাহয় সমবেত হন। কাজেই মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্রঘর এই কাবাকে নিয়ে কটূক্তিকারী অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। এজন্য গ্রেফতারকৃত শিপন দাসসহ যারা পবিত্র কাবাঘর, হজ্ব, আল্লাহ, রাসূল সা.কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। গ্রেফতারকৃত শিপন দাসকে কোনভাবেই জামিন দেয়ার চক্রান্ত করলে মুসলমানরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। গতকাল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পবিত্র কাবাঘরকে নিয়ে কটুক্তিকারী ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাশের ফাঁসী, সংসদে ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশের দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জমায়েতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, নগর সহ সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, যুব নেতা মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, শ্রমিক নেতা শাহাদাত হোসেন, ছাত্র নেতা সাইফ মুহাম্মাদ সালমান প্রমূখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, যুবনেতা নূরুল ইসলাম নাঈম, মুফতি মাছউদুর রহমান, ডা. মুজিবুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ দেওয়ান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে হালাল বস্তু গরুর গোস্ত খাওয়াকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মুসলমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বহু মুসলমান নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও সংখ্যালঘু কতিপয় হিন্দু ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অথচ কোন মুসলমান হিন্দুধর্ম নিয়ে কোন কটাক্ষ করছে না। তিনি বলেন, হিন্দু স¤প্রদায়ের কেউ যদি ইসলাম, রাসূল সা. মুসলমান, কাবা ও হজ্ব নিয়ে পুনরায় কটুক্তি করে এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ঈমানদার জনতা তাদেরকে রুখে দাড়াবে।
সমাবেশশেষে একটি বিশাল মিছিল ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর রওয়ানা দিলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। তখন সেখান থেকে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মামুন চৌধুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইন

৭ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ