Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা আছে, জাতীয় স্বার্থে তারা সাহায্য করবে -ড. এমাজউদ্দীন

| প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সেনাবাহিনীর উপর জনগণের আস্থা আছে বিধায় জাতীয় নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিব না কেন? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করলে দোষ কোথায়? গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডায়লগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিসিডিডি) আয়োজিত ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ: নিরপেক্ষ নির্বাচনে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর এমাজউদ্দীন বলেন, বিএনপিসহ দুই-তৃতীয়াংশ দল দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল বিএনপির। এখনও তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। তিনি বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ইলেকশন চাই, যে নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। এই অবস্থা যদি সৃষ্টি করতে হয় নির্বাচন কমিশন অপরিহার্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। একটা স্বতন্ত্র শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ইজ এ মাস্ট, এর কোনো বিকল্প নেই। বাট দ্যাট ইজ নট দি ওনলি আনসার। এরপরেও আরও কতগুলো বিষয় একান্তভাবে দরকার। যেগুলোকে বলা হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। এই সমতল ভূমি হওয়ার অনেকগুলো শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হলো যে জাতীয় সংসদ, দ্যাট হ্যাজ টু বি ডিজলভড। এটা ছাড়া কোনো পথ নেই। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রবীণ শিক্ষক এমাজউদ্দীন সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ১২৩ অনুচ্ছেদের ‘ক’ ব্যবস্থা হল সংসদ কার্যকাল পূর্ণ করার ৯০ দিন আগে নির্বাচন অর্থাৎ তখন আর সংসদ ভাঙার প্রয়োজন হচ্ছে না। ‘খ’ ব্যবস্থা হল সংসদ কার্যকাল পূর্ণ করার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ তখন সংসদ ভেঙে যেতে পারে, সংসদ থাকে না। দ্বিতীয়টি কার্যকর হলে প্রধানমন্ত্রী প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে ‘ছড়ি ঘোরাতে’ পারবেন না বলে মনে করেন তিনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ে সংসদ না ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক ও হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন প্রফেসর এমাজউদ্দীন। কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার যাতে ক্ষুণœ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এক্ষেত্রে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার মামলার কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. এমাজউদ্দীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ