Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভ্যাপসা গরম ও লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত রাজশাহীর জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : শ্রাবনের শেষ প্রান্তে এসেও নেই অঝোর ধারার বর্ষন। শুরুর দিকে যেমনটি হয়েছিল। এরপর আকাশজুড়ে সাদাকালো মেঘের আনাগোনা। কখনো একেবারে হাল্কা বৃষ্টি। আবার কড়া খরতাপ। এমনি আবহাওয়া বিরাজ করছে রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে। ভারী বর্ষন না হওয়ায় আবহাওয়ায় শীতলতা আসেনি। বরং খরতাপ ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এমন বিরুপ আবহাওয়াকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুতের ভয়ংকর রকমের লোডশেডিং। কোন কোন এলাকায় বিদ্যুত থাকাটা যেন অস্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কি গ্রাম কি নগর সর্বত্র চলছে এমন অবস্থা। রাজশাহী মহানগরীর পাঁচ অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা থেকে ৭৫ মেগাওয়াট। কিন্তু মিলছে অর্ধেকের কিছু বেশী। রাতের বেলা চাহিদা বেড়ে যাবার কারনে লোডশেডিং আরো ভয়াবহ আকার ধারন করছে। রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং ম্যানেজমেন্ট করে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এ কারনেই হচ্ছে লোডশেডিং। একবার কোন এলাকায় বিদ্যুৎ গেলে ফিরে আসছে এক ঘন্টারও বেশী সময় পরে। কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যাচ্ছে। কোন কোন এলাকায় দুআড়াই ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে নগরবাসী জানান। এনিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলছেন এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের খবর ফলাও করে প্রচার করা হলেও বাস্তবে জনগনের কাছে কেন নেই। আবার সরকার সমর্থক লোকজন বলছেন বিদ্যুৎ আছে কিন্তু সরকরাকে স্যাবেটাজ করা হচ্ছে। রাজশাহী কাঁটাখালি গ্রীড পবা পুঠিয়া বানেশ্বরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এখানে চাহিদা চল্লিশ মেগাওয়াটের কিছু বেশী হলেও মিলছে আঠারোর কম। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে তানোর গোদাগাড়ী মোহনপুর দুর্গাপুর ও পবার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সেখানে চাহিদা বত্রিশ মেগাওয়াট হলেও মিলছে পঁচিশ মেগাওয়াট। কখনো তারো কম। ভ্যাপসা গরমের সাথে লোডশেডিং সবচেয়ে বিপাকে ফেলেছে শিক্ষা নগরী রাজশাহীর দু’লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে। তাদের পড়াশোনায় চরম বিঘœ ঘটছে। বিশেষ করে যারা মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বিসিক এলাকায় ছোট বড় শিল্প কলকাখানা থেকে কম্পিউটার ফটো কপিয়ারের দোকানগুলো পর্যন্ত পড়েছে বিপাকে। ঠিকমত চার্জ না হওয়ায় আইপিএসও ফেল মারছে। বিপনী বিতানগুলোয় বেচাকেনা কমেছে। এদিকে বিদ্যুৎ গ্রহকরা নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ না পেলেও তাদের বিলের বোঝা আগের চেয়ে বেড়েছে এমন অভিযোগ করছেন। অনেকে বিদ্যুৎ অফিসে বিল নিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করছেন। এমন বাড়তি বিল নিয়ে গ্রাহকের ক্ষোভের অন্তনেই। কবে নাগাদ বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ