Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তানোরে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে তোলপাড়

| প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে ফের স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আর ঘটনা জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জা ও ক্ষোভে প্রায় ১০ দিন ধরে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তানোরের কলমা ইউপির দরগাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতির নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে ও সালিশে অভিয্ক্তু শিক্ষক শমসের আলীর দু’লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু জরিমানার টাকা ওই ছাত্রীর পরিবারকে না দিয়ে সভাপতি তার পকেটে রেখেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে স্কুলের সহকারী শিক্ষক শমসের আলী প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুলে ডেকে নিয়ে মুঠোফোনে নগ্ন দৃশ্য দেখিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিনই এলাকার অভিভাবকগণ শিক্ষক শমসের আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক শমসের আলীর কঠোর শাস্তির আশ্বাষ দিলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক রেনুল, কলমা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আজিমুদ্দিন, প্রধান শিক্ষক তাজেমুল ইসলাম নেতৃত্বে স্কুলের অফিস কক্ষে শালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে সহকারী শিক্ষক শমসের আলীর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা ওই ছাত্রীর পরিবারকে না দিয়ে বিচারকগণ পকেটে রেখেছে। এব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শমসের আলী বলেন, তিনি প্রতিহিংসার শিকার। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক পবিত্র অভিভাবক ও বন্ধুর মতো। তিনি বলেন, বিষয়টি তেমন কিছু ঘটনাই নয়, অসংলগ্ন বা খারাপ উদ্দেশ্যেও তার গায়ে হাত দেয়া হয় নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তি এ ঘটনাকে পুঁজি করে তাকে ফাঁসানো চেষ্টা করছে। জরিমানা করে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাজেমুল ইসলাম জানান, শিক্ষকের কাছে একজন ছাত্রী মেয়ের মতো তায় শিক্ষক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত বুলাতেই পারেন। এতে অপরাধ হয়েছে বলে মনে করি না। তবে কিছু লোকজন বাড়াবাড়ি করেছে। তাদের কারণেই জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়। তবে জরিমানার টাকা নিতে ছাত্রীর বাবা অস্বীকারও করেন। এদিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক জানান, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ছাত্রীর পরিবারকে দেয়া হবে। এ বিষয়ে তানোর উপজেলার প্রাথমিক অফিসার শামিম আহম্মেদ জানান, এ ব্যাপারে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পান নি। তবে ঘটনাটি শুনেছেন ও স্কুল পরিদর্শন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ