বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : নেশার টাকার জন্যে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ঔরসজাত সন্তানকে বিক্রি করেছে পাষন্ড পিতা। এ ঘটনায় গত রোববার রাত ১১ টায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে হতভাগ্য শিশুকে উদ্ধার ও এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ারুক ভূঁইয়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টামটা উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদের পুত্র রিক্সাচালক হারুনুর রশিদ ৭ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ারুক ভূঁইয়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো। মোঃ ফারুক (১০) ও জাহিদ হোসেন (৪) নামে তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
হারুনের স্ত্রী আয়েশা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে বেড়ানোর কথা বলে ছোট ছেলে জাহিদকে নিয়ে বাসা হতে বের হয় হারুন। রাতে বাসায় ফিরলে ছেলেকে না দেখে কান্নাকাটি শুরু করে আয়েশা। এক পর্যায়ে হারুন জাহিদকে বিক্রি করে ফেলেছে বলে জানিয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে শিশু জাহিদের মা আয়েশা বেগম শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। রোববার রাতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার রাজিবপুর গ্রাম থেকে শিশু জাহিদকে সৌদিআরব প্রবাসী মোশাররফ হোসেনের ঘর থেকে উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোশারফের স্ত্রী হাসিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আয়েশা জানায়, তার স্বামী একজন মাদকাসক্ত, প্রায় তাকে মারধর করে এবং সে একাধিক বিয়ে করেছে। সে আরও জানায়, তার স্বামী নেশার টাকা যোগাতেই নিজ সন্তানকে বিক্রি করেছে । এ বিষয়ে আয়েশা বেগম বাদি হয়ে শাহরাস্তি থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করেছে। শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে শিশু জাহিদকে নোয়াখালি জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলা থেকে উদ্ধার করি। শিশু জাহিদকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী হারুনুর রশিদকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।
আনোয়ারায় উদ্ধার অজ্ঞাত লাশের পরিচয় এখনো মেলেনি
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের পূর্ব পাশের একটি পুকুর থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা ২৬ বছর বয়সী যুবকের লাশের পরিচয় এখনো মেলেনি। পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই যুবকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ওই যুবকের পরনে ছিল লুঙ্গি ও শার্ট। তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তার কানে ও গলায় হেডফোন লাগানো ছিল।এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাঈনুল হক জানান,উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় এখনো মেলেনি। অজ্ঞাত ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।