বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে: পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে মোঃ ফুরকান মিয়া ও শিল্পী বেগম নামে দুই স্বামী স্ত্রীকে ইউনিয়ন অফিসে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেধে পিটানোর অভিযোগে মনোহরদীর শুকুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় এ মামলা দায়ের করেছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো মোস্তাফিজ ভেন্ডার, চান মিয়া, দুলু, কাউছার, সবুজ মিয়া, রিটন মিয়া, রিপন মিয়া, আল আমিন, বাবুল ফকির, বাদশা ও শাহিন। এরা সবাই চেয়ারম্যানের আত্মীয় ও লাঠিয়াল বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ভিটিপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজ ভেন্ডার একই গ্রামের শিল্পী বেগমের নিকট থেকে এক বছর পূর্বে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। কথা ছিল ৩ মাস পর ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু দীর্ঘ ১ বছরেও টাকা পরিশোধ না করায় শিল্পী বেগম মোস্তাফিজ ভেন্ডারের নিকট তার পাওনা টাকা দাবী করলে মোস্তাফিজ ভেন্ডার তার উপর খুবই ক্ষিপ্ত হয়। এরপর কয়েকদিন শিল্পী বেগম পাওনা টাকার জন্য তার বাড়ীতে ধর্না দিলে চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান শামীমের আত্মীয় মোস্তাফিজ ভেন্ডার শিল্পী বেগমকে বিভিন্নভাবে গালাগাল ও হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টায় শিল্পী বেগমের স্বামী ফুরকান মিয়া স্থানীয় বাচ্চুর বাজারে আক্তারের চা’স্টলে বসা ছিল। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান, দুলু ও চান মিয়ার মাধ্যমে ফুরকানকে তার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে নিয়ে তাকে হাত-পা বেধে আটক করে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। ফুরকান মিয়া সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না করায় তাকে অকথ্য গালাগালসহ মারধোর করে। এখবর পেয়ে ফুরকানের স্ত্রী শিল্পী বেগম ইউনিয়ন অফিসে গেলে চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান তাকে গালাগাল করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সে শিল্পী বেগমকে ধরে নিয়ে স্বামীর সাথে হাত-পা বেধে মারধোর করে। তাকেও ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। শিল্পী বেগম এতে রাজী না হলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বাড়ী থেকে ব্যাংকের চেক নিয়ে ৩টি বø্যাংক চেকে স্বাক্ষর রেখে শিল্পী বেগম ও ফুরকানকে ছেড়ে দেয়। একই দিন সন্ধ্যায় পূনরায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে আসামীরা শিল্পী বেগমের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর আসবাবপত্র ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। শিল্পী বেগম বাধা দিলে তাকে টেনে হেচড়ে শরীরের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এক পর্যায়ে তারা ঘরের শো-কেজে থাকা আড়ই ভরী স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আসামী করে মনোহরদী থানায় মামলা দায়েরের পরও পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।