পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719796138](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ষোড়শ সংশোধনীর রায় আওয়ামী লীগের অপকর্ম, অনাচার ও অত্যাচারের দলিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমস্ত পাপাচার, অনাচার, অত্যাচার, নির্যাতনের চিত্র পাওয়া যাবে এই রায়ে। এটা কোনো চায়ের দোকানের আড্ডা খানার রায় নয়, এটা যেনো তেনো কোনো রায়ও নয়। এ রায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়। এখানে আওয়ামী লীগের নানা অপকর্ম, অনাচার ও অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুন্সি জামালের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সংলাপের নামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বুদ্ধিজীবীদের সংলাপে ডেকে তাদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের ৯০ ভাগ সুপারিশ অগ্রাহ্য করে তাদের অপমান করার জন্যই সিইসি সংলাপের আয়োজন করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে সুশীল সমাজের বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুশীল সমাজের সুপারিশ যতটুক গ্রহণ করা ততটুক ধরা হবে। প্রচলিত আইন ও শাসনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী তো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আপনি সংলাপের নামে যা করছেন সেটা দেশের মানুষ তামাশা বলে ধরে নেবে। এই নাটক না করলেই পারতেন। সিইসি কে এম নুরুল হুদার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের লোক। আমরা মিথ্যা বলিনি, তার অনেক কর্মকান্ড তুলে ধরেছিলাম গণমাধ্যমের মাধ্যমে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার কোনও অঙ্গিকার সিইসি’র নেই। আপনি চাকরি করে চলে যাবেন, এটাই হচ্ছে আপনার মূল উদ্দেশ্য। তাহলে গণতন্ত্র কোথায়? ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা কোথায়? সেটা নিশ্চিত করছেন না কেন? তিনি আরো বলেন, ভোটাধিতার যেভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছে, জেলায় জেলায় যেভাবে তুফানদের সৃষ্টি করা হয়েছে সে অবস্থা থেকে দেশকে পরিত্রাণ দেবে কে? সেখান থেকে দেশবাসীকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য আপনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আশার বাণী শুনাবেন। সেটি না করে শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইনের কথা বলছেন। আরে প্রচলিত আইন তো প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেমত পরির্বতন করেছেন, একদলীয় বাকশালী সংসদ দিয়ে। শাসনতন্ত্রের ক্ষমতা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর হাতে, তাহলে আপনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কি বাকশালকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র করছেন? একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম শুরু করে। আগামী ১৬ ও ১৭ আগস্ট হবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে।
বিএনপির কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি সদস্য সংগ্রহের দুই মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, জেলায় জেলায় আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ যাচ্ছেন, পুলিশ আক্রমণ করছে, ভাংচুর করছে আর অসংখ্য তুফানকে লেলিয়ে দিয়েছেন তারা মারামারি করছে, সভা পন্ড করে দিচ্ছে তারপরে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। ১৫ অগাস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ না করে রিজভী বলেন, আগস্ট মাসে মর্মান্তিক একটি ঘটনা হয়েছে- এটা শোকাবহ ঘটনা, আমরাও বলি। তার জন্য আওয়ামী লীগ শোক দিবস পালন করবে- সবই ঠিক আছে। আর সারা মাস কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবে না- এটা হচ্ছে গুমের মনোবৃত্তি, এটা হচ্ছে, আমাদের সাংবাৎসরিক যে কর্মকান্ড সেখান থেকে একটি মাসকে অপহরণ করা। এটাই হচ্ছে বাকশালী মনোবৃত্তি এটাই হচ্ছে একক মনোবৃত্তি। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।