বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চরফ্যাশন উপজেলা সংবাদদাতা : চরফ্যাশন উপজেলার চরমায়া মৌজার আঃ মালেক বেপারীগংদের ভিটা-বাড়ি থেকে উৎত্থাতের ষড়যন্ত্র করেছে খলিল মাস্টার গংরা। এই বিষয়ে আঃ মালেক চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে দেঃ ৮১/১২(চর) মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরমায়া মৌজায় ১০৭নং জেলএ ৩৫৩, ৩৫৪ খতিয়ানে ৩৭৪, ৩৭৪/১ ও ৩৯৬ দাগের উপর ১৯৯২-৯৩ সালে এফ ২২০৯ ও ২২১০ কেইচনং মোট ৪ একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমির উপর ৪টি বাড়ি ও ৫টি পুকুর রয়েছে। জমিতে আঃ মালেক, আঃ খালেক মাঝি, ইমাম হোসেন ও সায়েরা বিবি বাড়ি নিয়ে বসবাস করছে। জমির মালিক আঃ মালেকগংরা বলেন, আমরা ৩০/৩৫বছর ধরে সরকারি খাস জমিতে বসবাস করছি। বসায় অবস্থায় সরকারি ভূমি বন্দোবস্ত নীতিমালা মোতাবেক বন্দোবস্ত নিয়েছি। আমার জমি খলিল মাস্টার গংরা দাবি করে এবং বিক্রি করে উভয়ে গ্রæপ একাত্রিত হয়ে উৎত্থাতের ষড়যন্ত্র করেছে।
সরকারি ভূমি বন্দোস্ত নীতিমালায় রয়েছে যে, একাধিক একর জমির মালিক যদি থাকে সে কোন ভূমিহীনদের জন্যে বরাদ্দকৃত খাস জমি বন্দোবস্ত নিতে পারবেনা। খলিল মাস্টারের পিতা হায়জত আলী সর্দার ১৯৭০বন্যায় মারা যায়। তার বড় ভাই আঃ জলিলও এই বন্যায় মারা যায়। ওয়ারিশ সূত্রে খলিল মাস্টার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে ৪ একর জমির মালিক রয়েছে। খলিল মাস্টার সরকারিভাবে ভ‚মি আইনকে বৃদ্ধাঙুলী দেখিয়ে নিজেই সরকারি চাকরিজীবী হয়ে তার বিরুদ্ধে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়াও খলিল মাস্টার জমির কাজগপত্রে কোন সময় এসএ খতিয়ানে চরশশীভ‚ষন, ডিয়ারা আমীনাবাদ, অন্যখতিয়ানে কুলসুমবাগ মৌজার নাম উল্লেখ করেও প্রতারনা করা হয়েছে।
জমির মালিক আদালতে বাদী হয়ে ৮১/১৫(চর) মামলাটি জেলা সহকারি যুগ্ম জজ আদালতে ২৪৯/১৫ সেশনে বিচারাধীন রয়েছে। বাদীর স্বাক্ষী জানানো হয়েছে। বিবাদীর স্বাক্ষীর জন্যে রয়েছে।
খলিল মাস্টার গংরা উক্ত জমির কিছু অংশ মামুন গংদের নিকট ১৬ এপ্রিল /১৭ তারিখে বিক্রি করেছে। যার দলীল নং ১০২৯ ও ১০৩০। এই দলীলে উল্লেখ করা হয়েছে এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে কোন মামলা মোকাদ্দমা নেই। বর্তমানে মামুন গংরা ও খলিল মাস্টার গংরা আঃ মালেকদেরকে বাড়ি থেকে ঘর-বাড়ি নিয়ে জমি থেকে সরে যাওয়ার জন্যে হুমকী-দমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে।
৭ মে/১৩ তারিখে আঃ মালেক সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আবেদন করেন যে, জমিটি আদালতে মিমাংশা না হওয়া পর্যন্ত বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকবে। তা আদালত মঞ্জুর করেছেন বলে আঃ মালেক জানিয়েছেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে আঃ খলিল মাস্টার জমি বিক্রি করেছে। বিষয় সঠিক বিচার দাবি করেছেন জমির মালিক আঃ মালেকসহ তার ভোগ দখলীয় পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।