Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল হাইকোর্টে

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা

| প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পুরান ঢাকায় দর্জি কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া মৃুত্যৃদন্ডপ্রাপ্ত চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং দুজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের রায়ের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ১৭ জুলাই আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মৃত্যুদন্ডাপ্রাপ্ত দুজন হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদার। আর মৃত্যুদন্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে- মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মীর মো. নূরে আলম লিমন। এছাড়াও মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস পেয়েছেন- সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিঞা টিপু। আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
পলাতক থাকা বাকি ১১ জনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। একই সঙ্গে আদালত সঠিক রিপোর্ট প্রদানে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেন। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ওই হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত আটজনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্নআদালতে মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। দীর্ঘ শুনানি শেষে রফিকুল হাইকোর্ট এ রায় দেন।
নিম্ন আদালতের আদেশে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন। গত ১৭ জুলাই ওই দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান এবং আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও শাহ আলম। গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুুত হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে। শাখারী বাজারে বিশ্বজিতের দর্জির দোকান ছিল। তিনি থাকতেন ল²ীবাজার। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।



 

Show all comments
  • আরমান ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১:৫৪ পিএম says : 1
    রায় নিয়ে তো কিছু বলা যাবে না। শুধু দেখা ছাড়া
    Total Reply(0) Reply
  • ইমরান ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১:৫৬ পিএম says : 0
    বলার ভাষা হারিয় যাচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • শরীফ ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১:৫৭ পিএম says : 0
    আরো যে কত কি দেখতে হবে সেটাই ভাবছি
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৭ আগস্ট, ২০১৭, ২:৫৭ পিএম says : 0
    সবগুলোকে ফাঁসী দেওয়া হলে তবে বিশ্বজিতের আত্মাটার যেমন শান্তি মিলতো তেমনি জাতিও স্বস্তি পেতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্টে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ