পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দশ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় ‘গৃহবন্দি’ কানাডিয়ান তরুণী (১৯) হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন। সঙ্গে এসেছেন তার বাবা-মা। হাইকোর্টের এক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার রাজধানীর মুগদা থানা পুলিশ তাকে হাজির করে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ গত ৫ এপ্রিল তাকে হাজির করার আদেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ১৯ বছরের এই বিদেশি তরুণীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ১০ মাস আটক রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস শুনানি করেন। এছাড়া কানাডিয়ান হাই কমিশনের প্রতিনিধি শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন।
রিটে উল্লেখ করা হয়, ১৯ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি। আবেদনে বলা হয়, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সব সময় বাসায় বন্দি করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ড ফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকায় কানাডিয়ান হাই কমিশনকে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ প্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়। গতকাল তরুণীকে হাইকোর্টে হাজির করা হলে আদালত বলেন, জোর-জবরদস্তি নয়-ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে শাসন করতে হবে। আদালত বলেন, বাবা-মাকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। হঠাৎ করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। সে (তরুণী) কানাডা যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া যাবে না। চাইলে তার বাবা-মাও সন্তানের সঙ্গে কানাডা যেতে পারবেন। ভিসা প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে তার বাবা মায়ের কাছেই থাকবে। তাকে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু দিতে হবে। এ সময় আদালত কানাডিয়ান তরুণীর বাবা-মায়ের উদ্দেশে বলেন, কানাডার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে সেখানে সেশন ফি পরিশোধ করে আবারো অধ্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। আপনারা তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবেন। কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ ও শুনানির তারিখ আগামীকাল মঙ্গলবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।