পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই। চট্টগ্রামে খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে বাড়ছে দাম। গত চারদিনে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল (রোববার) বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। দেশী পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির দেয়া গতকালের সর্বশেষ বাজারদরে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ টাকা। টিসিবির হিসেবে চারদিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে গড়ে ৫ টাকা করে।
টিসিবির হিসেবে গতকাল রাজধানী ঢাকার বাজারে পেঁয়াজে রদাম ছিল ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর এক মাস আগে মূল্য ছিল ২২ থেকে ৩২ টাকা। টিসিবির হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ ভোগ্যপণ্যের কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ থেকে ১৮ টাকা।
দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, চট্টগ্রাম নগরীতে জোয়ার ও ভারী বর্ষণে পানিবদ্ধতার কারণে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা প্রবল হওয়ায় সেখান থেকেও আমদানি কিছুটা কমেছে। আর এ কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বাজারেও পেঁয়াজের দরে তারতম্য দেখা গেছে।
আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ কোথাও ৫০ টাকা, আবার কোথাও ৪৫ টাকা এবং কোন কোন বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশী পেঁয়াজ কোথাও ৪৫ টাকা, আবার কোথাও ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন নিয়ন্ত্রণ বা বাজার মনিটরিং না থাকায় যে যার ইচ্ছেমতো মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর। তবে দাম পড়ছে না। দোকানিরা জানান, দর বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বেশি করে পেঁয়াজ কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকে আগে যা কিনতেন তার অর্ধেক কিনছেন। ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদাররাই দর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের কোন হাত নেই। আড়তদারদের থেকে কেনা দামের সাথে পরিবহন ভাড়া যোগ করে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন তারা।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের নেতা এস এম নাজের হোসাইন মনে করেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শুরুর দাবি জানান। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। পেঁয়াজের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। দেশে এবার পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানিও ছিল স্বাভাবিক। অথচ পেঁয়াজের দাম বাড়ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।