Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডিমলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

| প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামে বোনের নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে দিনব্যাপী ৭মাসের অন্তঃসত্তা এব গৃহবধুকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে বোনের শশুর বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বিরুদ্ধে দিনদুপুরে গরু চুরির অভিযোগে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র আকলিমার দেবর, শাশুড়ীসহ শ্বশুর বাড়ির অন্য লোকেরা তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। ঘটনাটি জানার পর আকলিমার ছোট বোন শেফালী বেগম(৩০) গত শুক্রবার সকালে বড় বোনের বাড়ীতে যান। কি কারনে বড় বোনকে এভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে জানতে চাইলে বড় বোন আকলিমার শশুর বাড়ি লোকেদের সাথে তার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতা-হাতিতে রুপ নেয়। এ সময়ে বড় বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকেরাসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সহযোগীতায় ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা শেফালী বেগমকে বেধরকভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মাঠিতে ফেলে রেখে তারাই স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সর্দার রশিদুল ইসলাম সরকারকে খবর দেন। গ্রাম পুলিশ রশিদুল ঘটনাস্থলে এসে আহত অন্তসত্ত্বা নারী শেফালীর মুখে কোনো কিছুই না শুনে উল্টো বড় বোনের মামা শ্বশুর খালিচা চাপানি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে আহত শেফালী বেগমকে একটি আম গাছের সাথে রশি দিয়ে জোরপুর্বক বেঁধে উক্ত ওয়ার্ড আ”লীগের সাধারন সম্পাদকের ছেলে ও বড় বোনের মামা শ্বশুরের ছেলে আতাউর, ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, আলী হোসেন, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, দেবর অফিয়ার, শাশুড়ী ওপেয়া বেগম ও স্থানীয় বেশকিছু প্রভাবশালী ফের শেফালীকে বেধরক পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। এসময় শেফালীর দুই বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন মায়ের নির্যাতনের ঘটনাটি দেখে কাঁদছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
পরে বিকেলে নির্যাতিত অন্তসত্ত্বা শেফালির অবস্থা বেগতিক দেখে বাঁধন খুলে দিয়ে বড় বোনের স্বামী ও শাশুড়ী ওপেয়া বেগম ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নির্যাতিতা শেফালীর বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় গরু চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। ডিমলা থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ ফিরোজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত শেফালীকে চিকিৎসা নেবার পরামর্শ দেন।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম বলেন,গাছে বেঁধে নির্যাতনের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি, ওই মেয়েটি গরু চুরি করতে গিয়ে এলাবাসীর হাতে আটক হলে তখন তিনি কয়েকজনকে কামড় দিয়ে আহত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্যাতন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ