পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, আদালতের রায় নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে। কিন্তু আপাতত তিনি এই বিষয়ে চুপ থাকতে চান। তিনি অনুধাবন করতে শুরু করেছেন আসলে কী ঘটছে। গতকাল পাঞ্জাবে মুরির নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।
নওয়াজ শরীফ বলেন, আমার সঙ্গে যা ঘটছে তা আপনাদের চোখের সামনেই রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লুটপাঠ বা জনগণের টাকার কোনও অপব্যবহারের কোনও প্রমাণ থাকলে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা যৌক্তিক হতো।
নওয়াজ বলেন, দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয় এমন কিছুই করিনি আমি। সুপ্রিম কোর্টের রায় আমি মেনে নিয়েছি, কিন্তু কোনও মন্তব্য করিনি। আইনের প্রতি আস্থাশীল আমি।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, যদি দেশ গণতন্ত্রের পথে থাকে তাহলে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। কিন্তু ব্যতিক্রম হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, আমি চাই দেশের রাজনীতি সঠিক পথে চালিত হোক। রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›দ্বীদের বিরুদ্ধে আমি কখনও খারাপ শব্দ ব্যবহার করিনি। রাজনৈতিকভাবে আমি বিচ্ছিন্ন নই।
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) পারভেজ মুশাররফের সমালোচনা করে নওয়াজ জানান, একজন সাবেক স্বৈরাচার বলছেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। তিনি বলেন, আমি জানি না তিনি (পারভেজ) কোন পৃথিবীতে বাস করছেন। দেশে এসে জনগণের সামনে কথা বলার সাহস নেই তার।
নওয়াজ জানান, ২০০৭ সালে পারভেজ তার (নওয়াজ) সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
এর আগে বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ আদালত বলছে, পার্লামেন্ট এবং আদালতের প্রতি সৎ ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী, তিনি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। আমিরাতভিত্তিক অফশোর কোম্পানি এফজেডই-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা গোপন করার কারণে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার খানিক বাদেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়। জারিকৃত নোটিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনি পদত্যাগ করেছেন। সূত্র: জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।