বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কিছুদিন পরপরই নগরীর কেন্দ্রস্থলে প্রধান দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজ এবং সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই বিবদমান গ্রæপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ, সংঘাতের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এতে করে উভয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক বিঘিœত এবং আশপাশের বিরাট এলাকায় জনমনে আতঙ্কও বিরাজ করছে।
গতকালও (শনিবার) সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দু’টি গ্রæপে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের ৮ জন কর্মী-ক্যাডার আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল ও দোকান-পাট বন্ধ থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এবারও ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িতরা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পাল্টাপাল্টি অনুসারী গ্রæপ।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪ জনকে জরুরী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে আরও চারজন। আহতরা হলেন মহসিন কলেজের ছাত্র মায়মুন উদ্দিন মামুন, আনোয়ার হোসেন পলাশ, জিসান, নূর উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, ছিদ্দিক সোহান, আরমান ও হানিফ সুমন। পুলিশ জানায়, চন্দনপুরা এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রউফের অনুসারীরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টাকালেই প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। এতে বাধে সংঘর্ষ। রউফ আ জ ম নাছিরের অনুসারী।
দীর্ঘকাল ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে থাকা চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্যদিয়ে আড়াই বছর ধরে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রæপ বনাম আ জ ম নাছির গ্রæপের দু’টি পক্ষ প্রায়ই মুখোমুখি হয়ে দফায় দফায় সংঘাতে লিপ্ত হয়। চট্টগ্রাম কলেজে পুলিশের একটি ফাঁড়িও রয়েছে। দুয়েকটি ছাড়া প্রায় সবকটি গেট বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।