Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আবারো আইসিইউতে স্থানান্তর

বায়োপসির পর মুক্তামনির হাত থেকে রক্তক্ষরণ

| প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার: বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনির ডান হাতের বায়োপসির পর ওই হাতের ক্ষত স্থান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আর তাই কেবিন থেকে আবারো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বায়োপসির পর আইসিইউ থেকে মুক্তাকে কেবিনে দেয়া হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন তার চার ব্যাগের মতো রক্ত লাগবে। মুক্তার রক্তের গ্রুপ এ-পজেটিভ। মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সকালে মুক্তার বায়োপসি সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামকে) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছিলেন, মুক্তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর রিপোর্ট দেয়া হবে। মুক্তা এখন ভালো আছে। তবে তার কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তার ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। এসময় বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর সাজ্জাদ খোন্দকার, প্রফেসর ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. লতা, অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
উল্লেখ্য, স¤প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন। এরইমধ্যে মুক্তার চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ