পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর বাজারে অব্যাহত দাম বাড়ায় ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে অধিকাংশ সবজি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত ৮ দিনের মধ্যে দুই দফায় ২০ টাকা বেড়েছে এই পণ্যের দাম। বৃষ্টির কারণে পর্যাপ্ত জোগান না থাকার অজুহাতে প্রতিদিনই কোনো না পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা। তাই মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষরা পড়ছেন বিপাকে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, পলাশীসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ, টমাটো ও শসাসহ প্রায় সব ধরনের কাঁচা পণ্যের দাম আগের মতোই প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা চাল বাজারে আসলেও দামের কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখনো মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। অন্যান্য চালও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
পলাশী বাজারে আসা আজিম নামে এক ক্রেতা বলেন, সাধারণত এ সময় বাজারে সবজি ও মাছের সরবরাহ বেশি থাকে। তাই দামও নাগালের মধ্যে থাকে। কিন্তু এবার বাজারে সবজি ও মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাকাচ্ছেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পাইকারি বাজারের পণ্য খুচরা বাজারে আসলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে আড়তে পেঁয়াজ সংরক্ষণে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ের কৃষকরা মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকা দরে; যা এর আগের সপ্তাহে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবারের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। এ হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১২ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। এছাড়া কেজি প্রতি দেশি রসুন ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা; ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা; আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা; শিম ১২০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা; দেশি টমেটো ১০০ টাকা; শশা ৬০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা; কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা; পটল ৫০-৫৫ টাকা; ঢেঁড়স ৫০-৫৫ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকা; করলা ৫০-৫৫ টাকা; কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকা; আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। বাজারে কেজি প্রতি ছোলা ৮০ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা; চীনের আদা ১৪০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১১০ টাকা; হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের দাম আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা; প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৫-৪৮ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৬০ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, পোলাও চাল (পুরাতন) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ছোট দেশি মুরগির দাম আগের বাড়তি দামে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ৫ টাকা বেড়ে ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্থানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।