বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এক সময় ফ্রিজকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সময়ের আবর্তে সেই ফ্রিজই এখন সাংসারিক জীবনের অনিবার্য পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর কোরবানির ঈদে সেটির প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়ে। তাই দেশীয় ফ্রিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। যমুনা ইলেকট্রনিক্স, ওয়ালটন, মাইওয়ানসহ প্রতিটি কোম্পানিই ঈদে ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বিক্রি বাড়াতে অনুযায়ী নগদ ছাড়, অফার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন মডেল ও কালারের ফ্রিজ বাজারে এনেছে।
রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটের ফ্রিজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আর্থ সামাজিক স্থিতিশীলতা, ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক বছরে ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে। এর মধ্যে দেশীয় ফ্রিজের চাহিদা সবচে বেশি। দামে সাশ্রয়ী এবং বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা থাকায় আমদানি করা ফ্রিজ কিনতে আগ্রহী নয় ক্রেতারা। কারণ আমদানি করা ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা দুর্বল। অপরদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি দেশীয় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ১০ বছরের কম্প্রোসার গ্যারান্টি দিচ্ছে। ফ্রিজে অত্যাধুনিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল টেকনোলজি রয়েছে। এই প্রযুক্তিসম্পন্ন বিদেশি ফ্রিজ কিনতে ক্রেতাদের লাখ টাকার ওপরে গুনতে হতো। আবার মাসের মাসের পর বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য ধরনা দিতো হতো। আর দেশীয় ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকছে হাতের নাগালে।
ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দেশীয় উদ্যোক্তারা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমে ফ্রিজের কম্প্রেসার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। কারণ কম্প্রেসারই ফ্রিজের মূল উপাদান। যার দ্বারা ফ্রিজের দ্রæত ঠান্ডা করে। তারপর ফ্রিজ কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, সিএফটির মাপ ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে সিএফটি একটি পুরনো হিসাব পরিমাপক পদ্ধতি। বর্তমানে এর মাধ্যমে ফ্রিজের সঠিক মাপ পাওয়া যায় না। এখনকার তৈরি করা ফ্রিজগুলো লিটারের মাপে তৈরি করা হয়। তাই সিএফটির মাপে ফ্রিজ কিনতে গেলে হিসাব জানতে হবে। এক সিএফটিতে ২৮ দশমিক ৩১৬৮ লিটার। কী গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সিএফসি ফ্রি হলেও সঠিক গ্যাসের ব্যবহার না করার কারণে মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্রান্ড ছাড়া আমদানি করা বেশিরভাগ ফ্রিজ নি¤œানের। এসব ফ্রিজে সিলিকন রয়েছে। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগব্যাধির সৃষ্ট করতে পারে। সিলিকনযুক্ত ফ্রিজে খাবার দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া কম্প্রেসার উন্নতমানের না হওয়ায় অধিক বিদ্যুৎ লাগে। সিএফটির মাপেও গড়মিল রয়েছে। আর এলজি, ওয়ার্লপুল, অ্যারিস্টন, সিমেন্সের মতো ব্রান্ডের ফ্রিজের দাম আকাশচুম্বী। আবার অনেক অসাধু আমদানিকারক চীন থেকে অর্ডার দিয়ে ব্রান্ডের ফ্রিজের নকল আমদানি করছেন। ক্রেতারা আসল-নকলের পার্থক্য বুঝতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরিশ্রমের পয়সা দিয়ে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু দেশে তৈরি ফ্রিজে এসব ঝামেলা নেই। বরং অত্যাধুনিক সব সুবিধাই রয়েছে।
এ বিষয়ে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পরিচালক (অপারেশন) ওমর ফারুক বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যমুনা ইলেকট্রনিক্স। গত বারের চেয়ে এবার দ্বিগুণ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বাজারের সবচে কম দামে সর্বাধুনিক ফ্রিজ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ফ্রিজের মডেলে আনা হয়েছে নতুনত্ব। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ইতিমধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফ্রিজ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে যমুনা ফ্রিজ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ১২০ ঘন্টা ঠান্ডা ধরে রাখার মতো ডিপ ফ্রিজ বাজারে আনা হয়েছে। উন্নত কনডেনসার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কম্প্রেসার, আল্ট্রা মাইক্রো ফোম ইনসুলেসন এবং আর৬০০এ গ্যাসের সুষম সমন্বয়ের কারণে ফ্রিজ দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা ধরে রাখতে পারে। যমুনা ফ্রিজ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, কম্প্রেসারের ১০ বছরের গ্যারান্টি, সিলিকন ফ্রি তাই মরিচা ধরে না, সিএফসি ফ্রি এবং মাপে সঠিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।