রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বেশ কিছু ইট ভাটা রয়েছে উপজেলার সর্বত্র। আর ইট ভাটাগুলোতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি মানে টপ সয়েল। ফসলি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার করে ইট তৈরি করছে অধিকাংশ ইটভাটা মালিকরা। টপ সয়েল কেটে নেয়ার কারনে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে যে কারনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। তবে স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলছে বারবার বারণ করা সত্তে¡ও ইটভাটা মালিকরা উর্বর মাটি ব্যবহার করে ইট বানাচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তা উর্বর ভ‚মি কমে যাওয়ার বিষয়টি জানলেও নানান সীমাবদ্ধতার কারণে পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন, যে সকল ভাটা মালিকগন টপ সয়েল ব্যবহার করছেন তাদের বিষয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইট তৈরির জন্য প্রায় ৯০ ভাগ ইট ভাটা মালিকগন স্থানীয়ভাবে ফসলি জমির মাটি ক্রয় করে থাকেন। দেশীয় মাটি কাটার কোদালের মাপে ১ কোপ মানে প্রায় ১২ইঞ্চি করে মাটি কেটে আনা হয় ফসলি জমির উপরিভাগ থেকে। কেটে নেয়া মাটিটা কৃষি জমির একেবারে উপরের অংশ যাকে টপ সয়েল বলে। জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ার ফলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে ফসলি জমিগুলো। এ কারণে প্রতি বছরই কমছে ফসল উৎপাদন। টপ সয়েল বিক্রিকারী জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি বিক্রির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও ভাটা মালিকরা বলছেন, জমির মালিকরা জেনেশুনেই জমির মালিকগন মাটি বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাটা মালিক ইনকিলাবকে বলেন, টপ সয়েল ব্যতীত ইট তৈরী সম্ভব না। জমির উপরিভাগ হতে এক কোদাল করে যে মাটিটা কেটে আনা হয় সেই মাটি দিয়ে ভালো ইট তৈরী হয় এর এর পর যত নীচে যাবেন ততনীচে বালি পাওয়া যাবে যা দিয়ে কোভাবেই ইট তৈরী সম্ভব না। মাটি ব্যতীত ইট তৈরী বিকল্প কাঁচামাল না থাকার কারনে আমাদেরকে জমির মাটি কিনতে হচ্ছে তবে সারাদেশের ইটগুলো টপ সয়েল ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে আমরা ও বন্ধ করে দেবো। উপজেলার ৯নং গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ইটভাটায় ফসলি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার বন্ধে তারা ইটভাটার মালিকদের বারবার বারণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব কথা মানেননি ইটভাটা মালিক ও জমি মালিকরা। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচাপলক আলী আহম্মদ জানান, ফসলি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার করলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই জমিতে ফসল উৎপাদন কম হয়। তাই ইটভাটায় ফসলি জমির উর্বর মাটি ব্যবহারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইটভাটাগুলোতে দ্রæত উর্বর মাটি ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর এর সহকারী পরিচারক কাজী সুমন ইনকিলাবকে জানান, ছাড়পত্র দেবার সময় আমরা স্পষ্ট কিছু শর্ত দেই। কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহার করা যাবে না, কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে তদন্তের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ওই ভাটা ও ভাটার মালিকে রিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে চাঁদপুরে মোট ১১৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি অবৈধ হলেও হাইকোর্টে রিট করে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যে কারণে আামরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।