Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বানিয়াচঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত

| প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আলোচিত ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম ঝিলিকী পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বানিয়াচং-শিবপাশা রোডের আঞ্জন এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ দাবী করছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপ গান, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ৮টি গুলির খোসা, ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কাগাপাশা ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের ইছমত মিয়ার নির্জন বাড়ি থেকে কুখ্যাত ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকী (৩২) ও তার সহযোগী যাত্রাপাশা গ্রামের আ. কুদ্দুছের ছেলে মন্তাজ মিয়াকে আটক করে।
পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম ঝিলকীর দেওয়া তথ্যমতে তাকেসহ বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগী ডাকাতদের গ্রেফতার করার জন্য বানিয়াচং শিবপাশা রোডের আঞ্জন এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় আঞ্জনদিঘীর পাড় সংলগ্ন ব্রিজির উপর পৌঁছামাত্র রাস্তার দুইপাশ থেকে ঝিলকীর সহযোগী ডাকাত দল রাস্তা ব্যারিকেড দেয় এবং ঝিলকীকে ছিনিয়ে নিতে এলোপাথাড়ি গুলি করে। পুলিশও পাল্টাগুলি ছুড়ে। এতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে। এক পর্যায়ে সহযোগী ডাকাতদের গুলিতে ঝিলকী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত ঝিলকীকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকীর বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ৪টি ডাকাতি মামলা, ১টি চুরির মামলা ও ৪টি দ্রæত বিচার আইনের মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৮টি গ্রেফতারি পরোয়ানা বানিয়াচং থানায় রয়েছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, সাইফুল ইসলাম ঝিলকি এলাকার ত্রাস ছিল। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বন্দুকযুদ্ধ হয়। তবে বুধবার বিকেলে তাকে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে বানিয়াচং উপজেলার আলোচিত ডাকাত ঝিলকিকে গ্রেফতারের পর উপজেলার কাগপাশা গ্রাম থেকে তার অন্যতম সহযোগী আরও ২ ডাকাতকে আটক করেছে জনতা। বুধবার রাত ৮টার দিকে এ আটকের ঘটনা ঘটে। এ সময় জনতা ডাকাতদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ