পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার তোফায়েল আহমদের নিয়োগ অবৈধ নিয়ে শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, একজন ভিসি পর্যন্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ফলে তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সগীর আনোয়ার; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম এম জি সারোয়ার। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন ভিসি পর্যন্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তখন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হতেন তাদেরকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতো। কিন্তু এখন আর সেটি হচ্ছে না। এটা অ্যালারমিং।
গত বছরের ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে দুজন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, যাতে আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসিতে সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ন্যুনতম ৪ দশমিক ২৫। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ৩২ জনের নাম ও যোগ্যতা উল্লেখ করে ৮ ডিসেম্বর বিবরণী প্রকাশ করা হয়। সেখান থেকে যে দুজনকে নিয়োগ দেয়া হয়, তাদের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদ শর্ত পূরণ করতে পারেননি; তার সিজিপিএ ৩ দশমিক ১৯। কিন্তু সিজিপিএর শর্ত পূর্ণ করে ৩২ জনের তালিকার শীর্ষ থাকলেও এইচ এম মিরাজ সৌরভ নিয়োগ পাননি।
নিজের নিয়োগ চেয়ে এবং খন্দকার তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রিট আবেদন করেন মিরাজ।ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট যে রুল দিয়েছিল, তাতে শর্ত ভঙ্গ করে নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুলটিই গত ২৫ জুলাই আংশিক মঞ্জুর করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায় স্থগিত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৩১ জুলাই চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।চেম্বার বিচারপতিনো অর্ডার দিয়ে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।সে অনুযায়ী গতকাল আবেদনটির শুনানি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।