পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা চায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সম্প্রতি আইন মন্ত্রনালয় বরবার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিবরা সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান। অথচ বিচার বিভাগীয় অতিরিক্ত জেলা জজরা দ্বিতীয় গ্রেডে থাকার সত্তে¡ও গাড়ির সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি কি বৈষম্য নয়। সবশের্ষ গত জুন মাসে উপ-সচিবদের জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবহারের গেজেটও প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেতে রাজি হননি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি দীর্ঘ দিনের দাবি। আইন মন্ত্রনালয়ের আমরা বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান ইনকিলাবকে বলেন, জেলা জজদের সরকারি গাড়ির ব্যবহারের সুবিধা আমরা চাই। কারণ জেলা জজদের নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণের স্বার্থে সার্বক্ষনিক গাড়ির প্রয়োজন রয়েছে। যদি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের চিঠি পাঠানো উদ্যোগ অবশ্যই ভাল। এছাড়াও আমরা শুনেছি পদ মর্যাদার নিচে থাকার সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি গাড়ির সুবিধা অনেক আগে থেকেই ওই সুবিধা পাচ্ছেন। সুতরাং সরকার তাদের জন্য গাড়ি দিবে আমাদের বিশ্বাস। আমরা এটা চাই। এই দাবি আমরা অনেক আগেই উথাপন করেছি।
বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা জজের সংখ্যা ২৩১ জন। এদের মধ্যে ৬৮ জন বিভিন্ন এলাকায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর তারা গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু এর বাইরে বাকিরা একই পদমর্যাদায় থেকেও গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সরকারি যানবাহন ব্যবহারের সুবিধা চেয়ে আইন মন্ত্রনালয় বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইন অনুয়ারী অতিরিক্ত জেলা জজগণ জেলা পর্যায়ের আদালতের সর্বোচ্চ বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োদকারী জেলা জজগণ সমান বিচারকি ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। জুডিসিয়াল সার্ভিসের অতিরিক্ত জেলা জজদের মধ্যে শুধুমাত্র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকেন। অন্যন্যা সার্ভিসের জেলা জজদের সমান মর্যাদার সম্পন্ন কর্মকর্তাগণ গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান। এমনকি তাদের চেয়ে নিচের কর্মকর্তারাও গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পান।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ফৌজদারি আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে সবোর্চ্চ মৃত্যুদন্ডসহ অন্যন্যা দন্ড প্রদান করে থাকেন। ফলে অতিরিক্ত জেলা জজগণকে অধিকাংশ সময় অফিস সময়ের পরও অফিসের কাজ করেেত হয় এবং তাদেরকে অধিকাংশ সময় রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরতে হয়। এমতাবস্থায় জুডিসিয়াল সার্ভিসের অরিতিক্ত জেলা জজ ও এবং সমমর্যাদার সম্পন্ন সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেস্বার্থে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের প্রদান অনস্বীকার্য। সরকারি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
নি¤œ আদালতের বিচারিক কর্মকর্তাদের মধ্যে জেলা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এর বাইরে কেউ এ সুযোগ পান না। যদিও অতিরিক্ত জেলা জজদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ দিতে অনেক দিন ধরেই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তুএ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সরকার।
সরকারের গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী অতিরিক্ত জেলা জজ গণ দ্বিতীয় গ্রেড, যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় গ্রেড, সিনিয়র সহকারী জজ চতুর্থ গ্রেড পর্যায়ের কর্মকর্তা। আর সহকারী জজরা শুরুতে ষষ্ঠ এবং চার বছর পর থেকে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তার মর্যাদা পান। আর উপ-সচিবরা পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা। অথচ উপসচিবদের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ দিলেও দ্বিতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা হয়েও অতিরিক্ত জেলা জজ গণ এ সুযোগ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। এদিকে প্রশাসনের যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা গাড়ি কেনার জন্য এককালীন অর্থ পেয়ে থাকেন। আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসেও টাকা পান। অথচ অতিরিক্ত জেলা জজদের যারা সরকারি গাড়ি ব্যাবহার করেন শুধুমাত্র তার কর্মক্ষেত্রের এলাকায়। বিচারিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ক্ষোভ থাকলেও স¤প্রতি প্রশাসনের উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাড়ির সুবিধা দেয়ার আদেশ জারি হওয়ার পর তা চরম আকার ধারণ করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২০ জুন এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এর আগে প্রশাসনের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ সুবিধা ভোগ করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।