বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে চলমান খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও অবিচারের নানা চিত্র তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, দেশে এখন ক্ষমতার তুফান চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বগুড়ায় বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকারের কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তুফান আওয়ামী লীগের কেউ না। গঠনতান্ত্রিকভাবে এটি গ্রহণযোগ্য হলেও রাজনৈতিকভাবে খোলা চোখে মানুষ মনে করে, শ্রমিক লীগ আওয়ামী লীগের অংশ। এই তুফান সরকার কি করে শ্রমিক লীগের নেতা হন। তাঁর ভাই মতিন সরকার কি করে যুবলীগের নেতা হন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ আরও বলেন, বিচারব্যবস্থা এখন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। সরকার যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালতের এ পর্যবেক্ষণের পর লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে।’
চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি এখন নাজুক। আমরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা শুনেছি। এখন ১০ টাকা তো দূরে থাকা, সাধারণ মানুষকে ৫০ টাকায় চাল খেতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, প্রতিদিন নারী ধর্ষণের কথা পত্রিকায় আসছে। ঢাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান চোখ হারাতে বসেছেন। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের এমন পরিস্থিতি ছিল না।
এমন অবস্থায় মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা এবং তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত থেকে পদত্যাগ করবেন কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে আমরা সময়মতো পদত্যাগ করব।’ দেশের এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টি কি চায় সরকার পদত্যাগ করুক—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা চাই না। এতে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব কি না, তা জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, এখন পর্যন্ত এই কমিশনের পরীক্ষা হয়নি। ভবিষ্যতে বোঝা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।