Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাচীন রাঙ্গুনিয়া চাকমা রাজবাড়ির প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন বিলুপ্তির পথে

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম): ২৭৬ বছর আগে প্রসিদ্ধ রাঙ্গুনিয়া চাকমা রাজবাড়ির প্রতœতাত্তি¡ক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে বিলপ্তির পথে। প্রাচীণ চাকমা রাজবাড়ির চারপাশে ঝোঁপঝাড়ে ছেঁয়ে গেছে। পুরো রাজবাড়ি জুড়ে ধ্বংসাবশেষ। শুধু ইটের স্তুুপ ও গাছপালা-লতাপাতায় ভরপুর। পরিচর্যার অভাবে চাকমা রাজত্বের সর্বশেষ প্রতœ নিদর্শন টুকুও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে রাজানগর ইউনিয়নে ঐতিহাসিক চাকমা রাজবাড়ি অবস্থিত। ৩৬ একর ভূমিতে চাকমা রাজবাড়ি এলাকা। প্রায় ৩০ শতক জমিতে রাজবাড়ি ভবন স্থাপিত হয়। রাজবাড়ি এলাকায় ২টি দিঘী, ১টি পুকুর, ২টি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। চাকমা রাজবাড়ি ঘেষে গড়ে উঠেছে প্রসিদ্ধ রাজারহাট বাজার। রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর থেকে চাকমা রাজা সমস্ত প্রজাদের কাছ থেকে জমি খাজনা আদায়, বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
চাকমা রাজা বংশধররা রাঙ্গুনিয়া রাজানগরের রাজবাড়ি ছেড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে রাজবাড়ি স্থাপন করেন। চাকমা রাজা সকল কার্যক্রম রাঙ্গামাটি থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন। রাঙ্গুনিয়া থেকে চাকমা রাজা চলে গেলেও রয়ে যায় প্রাচীন প্রসিদ্ধ রাজবাড়ি। যুগের পর যুগ অতিবাহিত হলেও রাজবাড়ি সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজবাড়ি। প্রসিদ্ধ ও প্রাচীন চাকমা রাজবাড়িটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় মো. আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, অযতœ অবহেলায় ঐতিহাসিক চাকমা রাজবাড়ির প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কারের অভাবে দেয়াল খসে পড়ছে। রাজবাড়ির করুন অবস্থা দেখে মনে হয়, চাকমা রাজত্বের গৌরবময় অতীত যেন ডুকরে কেঁদে ওঠে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ