Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেবার নামে প্রতারণা রূপগঞ্জে সেটেলমেন্ট অফিস চলছে নাইটগার্ড ও পিয়ন দিয়ে

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ৩ আগস্ট, ২০১৭

মো ঃ খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিস চলছে নাইটগার্ড ও পিয়ন দিয়ে। অফিসের উপ-সহকারী ও পেশকার, সার্ভেয়ারসহ আট কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এদের মধ্যে মাঝে মধ্যে নাইটগাট ও পিয়ন অফিসে থাকেন, বাকিরা সপ্তাহে এক দিনও অফিসে আসেননা। সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন ঠিকই। ভুক্তভোগীরা পর্চা, নকশাসহ বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যাচ্ছে। সেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীরা সেটেলমেন্ট অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপসারণ ও অফিসের শত ভাগ কার্যক্রমের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে এখানে আসা ভুক্তভোগী লোকজন মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করবেন বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ উপজেলায় জমি কেনা বেচাও সব চেয়ে বেশি। জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে পর্চা, নকশাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়। ওইসব কাগজপত্র তেজগাঁয়ের সেটেলমেন্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হতো। সাধারন মানুষের হয়রানি কমাতে সরকার গত তিন বছর আগে রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে সেটেলমেন্ট অফিস উদ্বোধন করে কার্যক্রম চালু করেন। সাত কক্ষ বিশিষ্ট অফিসটি উদ্বোধনের পর থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারী বিহীন অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে মোট আট জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এ অফিসের মুল দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সাইফুল ইসলাম। এছাড়া পেশকার শফিকুল ইসলাম, খারিজ সহকারী সারোয়ার হোসেন, সার্ভেয়ার লোকমান হোসেন, ড্রেসম্যান মাহফুজুল ইসলাম, বেঞ্চ সহকারী বেলায়েত হোসেন, অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন, নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন ও নৈশ প্রহরী মাঝে মধ্যে অফিস খুলে বসলেও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোন খোঁজখবর নেই। সাধারন মানুষ অফিসে এসে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে ক্ষোভ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, তারা সেটেলমেন্ট অফিসে এসেছেন পর্চাসহ বিভিন্ন প্রকার জমির কাগজপত্র তুলতে। এখানে এসে কোন দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের পাননি তারা। এসব ভুক্তভোগীরা কোন প্রকার সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ যাচ্ছেন। । অফিস সহায়ক হেলাল উদ্দিন লোকজন আসলে তাদের জানিয়ে দেন অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই, তেজগাঁও অফিসে যোগাযোগ করেন। বাকি কক্ষ গুলো সব সময়ই তালা বন্ধ থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে অস্থায়ী সেটেলমেন্ট অফিস রয়েছে । তবে পুরোপুরি অফিসের কার্যক্রম চালু করা হয়নি। প্রতিটি উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে আমাকে যেতে হয়।
সাব-রেজিষ্ট্রি পশ্চিম এর সাব-রেজিষ্ট্রার আলী আহাম্মেদ বলেন, এ দপ্তরটি আমাদের অধিনে নয়, তাই তদারকি করতে পারিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের অধীনের বাইরে সেটেলমেন্ট অফিসটি। তারা তাদের মতো করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারপরও সাধারন মানুষের হয়রানি কমাতে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ